
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চাপ বাড়ল গত বারের রানার্স সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। কিছুদিন আগেই চেন্নাইয়ের মাঠে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। মাঝে বেশ কিছুদিনের বিরতি থাকায় টিমকে মলদ্বীপে ছুটি কাটাতে পাঠিয়েছিলেন সানরাইজার্সের মালকিন কাব্যা মারান। কিন্তু ছুটি কাটিয়ে এসে যেন তরতাজা হতে পারেননি সানরাইজার্স ক্রিকেটাররা। আমেদাবাদে ৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হার। প্লে-অফের দৌড়ে অঙ্কে থাকলেও রাস্তা খুবই কঠিন হল সানরাইজার্সের। অন্যদিকে, ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে এক পা ফেলে রাখল গুজরাট টাইটান্স।
গত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরেছিল গুজরাট টাইটান্স। দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও গত চার ম্যাচের মধ্যে দুটো হার কিছুটা চাপে রেখেছিল। এ দিনের জয়ে অনেকটাই স্বস্তি টাইটান্স শিবিরে। আমেদাবাদে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স। যদিও টাইটান্সের মূল শক্তি টপ থ্রি-র বিরুদ্ধে নতুন বলে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ওপেনিং জুটিতেই ৮৭ রান যোগ করেন সাই সুদর্শন ও শুভমন গিল। ১৪৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে আউট শুভমন। তাঁর রান আউট নিয়ে অবশ্য বিতর্কের জায়গা রয়েছে। শুভমন ৩৮ বলে ৭৬ রান করেন। তেমনই তিনে নামা জস বাটলার ৩৭ বলে ৬৪ রান করেন। স্লগ ওভারে অবশ্য বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে পারেনি টাইটান্স। তবে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২২৪ রানের বিশাল স্কোর টাইটান্সের।
সানরাইজার্সের ফিল্ডিংও এ দিন খুব খারাপ হয়েছে। যার সুযোগ নিতে ছাড়েনি টাইটান্স। বোর্ডে ২২৫ রানের বিশাল টার্গেট। সানরাইজার্সের শুরুটা মন্দ হয়নি। কিন্তু প্রসিধ কৃষ্ণ দ্রুতই ইমপ্যাক্ট ফেলেন। ২০ রানেই ফেরেন ট্রাভিস হেড। অভিষেক শর্মা বিধ্বংসী ব্যাটিং করলেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকেন টাইটান্স বোলাররা। তাদের ফিল্ডিংও দুর্দান্ত হয়েছে। শেষ অবধি ৬ উইকেটে ১৮৬ রান অবধি পৌঁছয় সানরাইজার্স।