লখনউ সুপার জায়ান্টস শিবিরের উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছিল আসল চিত্রটা। সেই মাঠ, একই প্রতিপক্ষ। গত মরসুমে হায়দরাবাদে দুরমুশ হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এ বার বদলার জয়। তাও আবার দাপট দেখিয়ে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অন্যতম স্মরণীয় জয়ও বলা যায়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন আপকে মাত্র ১৯০ রানে আটকে রাখা এবং ৫ উইকেটে জয়।
এই ম্যাচের আগে থেকে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। তার উপর ঋষভ পন্থ টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ায় জল্পনা বাড়ে। লখনউয়ের যা বোলিং লাইন আপ, এই ম্যাচেই না ৩০০ হয়ে যায়। লখনউ সুপার জায়ান্টসে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি শার্দূল ঠাকুরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। চার উইকেট নেন তিনি। যোগ্য সঙ্গত বাকি বোলারদেরও। সঙ্গে দুর্দান্ত গ্রাউন্ড ফিল্ডিং। সানরাইজার্স বিধ্বংসী হলেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিয়েছে লখনউ।
রান তাড়ায় শুরুতেই লখনউ শিবিরে জোরালো ধাক্কা দেন মহম্মদ সামি। কিন্তু মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরানের সেঞ্চুরি প্লাস জুটি আবারও সহজ জয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে। দু-জনেই টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি প্লাস স্কোর করেন। এই দু-জন ফিরতে সাময়িক চাপ। ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ ১৫ রানে ফেরেন। ততক্ষণে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে লখনউ। আব্দুল সামাদের ৮ বলে ২২ এবং মিলারের ৭ বলে ১৩ রানের ক্যামিও ইনিংস। ১৬.১ ওভারেই ৫ উইকেটে জয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের।