Ishan Kishan: পছন্দের নম্বরের জার্সি মেলেনি, হতাশ ঈশানের সমস্যা সমাধান করেছিলেন মা
সীমিত ওভারে হইচই ফেলে দিয়েছেন ভারতীয় দলের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটার ঈশান কিষাণ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওডিআই ফরম্যাটে সম্প্রতি দ্বিশতরান করেন।
রাঁচি: তাঁর পছন্দের সংখ্যা ছিল এক। আর নিতে হয়েছিল আর এক। ঈশান কিষাণ ভারতীয় টিমে অভিষেকের সময় ২৩ নম্বর জার্সি (Jersey) পরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই সংখ্যা ছিল কুলদীপের কাছে। তাহলে কী হবে? হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ঈশান (Ishan Kishan)। এই অদ্ভুত সমস্যার সমাধান কীভাবে করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। সব পথ যখন বন্ধ হয়ে যায় তখনই মনে পড়ে মায়ের কথা। ঈশানও তাই করেছিলেন। শেষপর্যন্ত মা সুচিত্রা সিংয়ের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন। সন্তানদের মুখ ভার থাকলে বাবা-মায়েরও মনখারাপ হতে বাধ্য। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে ঈশানের সমস্যার সমাধান করে দিয়েছিলেন সুচিত্রা দেবী। তাতে বজায় ছিল একূল ওকূল দুটোই। ঈশানেরও মুখে ফুটেছিল হাসি। ছেলেকে কী সমাধান দিয়েছিলেন সুচিত্রা সিং? তুলে ধরল TV9 Bangla।
সীমিত ওভারে হইচই ফেলে দিয়েছেন ভারতীয় দলের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটার ঈশান কিষাণ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওডিআই ফরম্যাটে সম্প্রতি দ্বিশতরান করেন। ঋষভ পন্থের পর আরও এক ভরসাযোগ্য উইকেটকিপার-ব্যাটার পেয়ে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। পন্থের অনুপস্থিতিতে তাঁর বিকল্প হিসেবে রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়দের পছন্দের ক্রিকেটার এখন ঈশান। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে ঈশানের ব্যাটে ঝড় ওঠেনি। এ বার পালা টি-২০ সিরিজের। ঈশানের ঘরের মাঠ রাঁচিতে প্রথম টি-২০ ম্যাচ। ১৪ বছর বয়স থেকে ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলছেন। ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক টি-২০র আগে বিসিসিআই টিভিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে নিজের জার্সি নম্বর থেকে ধোনির প্রথম অটোগ্রাফ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করেছেন। জার্সি নম্বর নিয়ে ঈশান বলেন, “দলে ডাক পাওয়ার পর জার্সি নম্বর জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। আমার পছন্দ ২৩ নম্বর জার্সি। কিন্তু আগেই কুলদীপ যাদবকে একই নম্বরের জার্সি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মায়ের পরামর্শ নেওয়ার মনস্থ করি। মা ৩২ নম্বর জার্সি নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর আর কিছু না ভেবেই ৩২ নম্বর জার্সি তুলে নি।”
তিনি আরও বলেন, ” ১৪ বছর বয়স থেকে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করার পর পটনা থেকে রাঁচি চলে আসি। এরপর দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ টিমের হয়ে খেলার সুযোগ পাই। তারপর সিনিয়র দলে ডাক আসে।” রাঁচির রাজপুত্র মহেন্দ্র সিং ধোনি সম্পর্কে না বললে সাক্ষাৎকার বোধহয় অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ঈশান বলে দেন, “ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনি আমার আদর্শ। আমিও ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলি। আমিও ওনার মতো ক্রিকেটার হতে চাই। ১৮ বছর বয়সে প্রথমবার ধোনির অটোগ্রাফ পেয়েছিলাম। ওনাকে প্রথমবার সামনে থেকে দেখা মনে রাখার মতো মুহূর্ত। অটোগ্রাফ পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। নিজের গেম নিয়ে বলব, আমি কোনও কিছুতেই ভয় পাই না। আমার যাত্রাপথে যা আসে সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ফেলি।”