IPL 2025: আইপিএলে বাংলার জয়, প্লে-অফে অভিজিৎ ভট্টাচার্য?

IPL Bengali Umpire: ক্রিকেটে সবসময়ই ক্রিকেটার এবং তাঁদের বিভিন্ন রেকর্ডের কথা বলা হয়। সেইসব নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু যাঁরা এই ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনা করেন, সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা অনেকটাই উপেক্ষিত।

May 03, 2025 | 11:39 AM

ক্রিকেটে সবসময়ই ক্রিকেটার এবং তাঁদের বিভিন্ন রেকর্ডের কথা বলা হয়। সেইসব নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু যাঁরা এই ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনা করেন, সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা অনেকটাই উপেক্ষিত। খুব কমই এমন ক্রিকেটপ্রেমী আছেন যাঁরা আম্পায়ারদেরও চেনেন। ভাবতেই পারেন আজ হঠাৎ আম্পায়ারদের নিয়ে এমন আবেগপ্রবণ হচ্ছি কেন? আসলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথমবারের জন্য আইপিএলে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চন্দননগরের অভিজিৎ ভট্টাচার্য। চলুন আজ কথা হোক তাঁকে নিয়েই।

৫১ বছর বয়সী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বাড়ি ভদ্রেশ্বরের কালীতলায়। পরিবারের সঙ্গে থাকেন চন্দননগরের চারমন্দিরতলার বাড়িতে। কিছুটা বড় বয়সে ডানহাতি ব্য়াটার হিসেবে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। অফস্পিন বোলিংও করতেন। কলকাতা ময়দানে প্রথম ডিভিশনে খেলেছেন। স্বপ্ন ছিল রঞ্জি খেলার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পরে কোচিং শুরু করেন। কিন্তু খাপ খাওয়াতে পারেননি।

মাঠে বিসিসিআই আম্পায়ারদের কদর তাঁকে খুবই টানত। আন্তর্জাতিক স্তরের আম্পায়ার শেখর চৌধুরি, অলোক ভট্টাচার্য, অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকান্ত পাঠক, সুশান্ত পাঠকদের দেখে উৎসাহিত হতেন। ২০০৭ সালে আম্পায়ারিংয়ের পরীক্ষায় পাশ করেন। তারপর বিসিসিআইয়ের পরীক্ষাতেও পাশ করেন। এরপর ফ্রান্সিস গোমসের কাছে ট্রেনিং নেন তিনি। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। রঞ্জি, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি, দলীপ ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি সবেতেই আম্পায়ারিং করেছেন।

২০২৩ সালে আইপিএলে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে সেবার চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত বছর উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও আম্পায়ারিং করেন তিনি। এক রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড় হিসাবে যে স্বপ্ন পূরণ হয়নি, তার অনেকটাই হচ্ছে আম্পায়ারিংয়ে। এ জন্য আমি সিএবি’র প্রতিও কৃতজ্ঞ।’

এ বার ২০২৫-এ নিজের জীবনেই শুধু প্রথমবার নয়, বরং প্রথম বাঙালি হিসেবে আইপিএলের মাঠে প্রথমবার আম্পায়ারিং করলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। ২৪ মার্চ দিল্লি ও লখনউয়ের ম্যাচে প্রথম আম্পায়ারিং করলেন। চলতি মরসুমে মোট ছটি ম্য়াচে মাঠে এবং ৫টি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ছয়টি ম্য়াচে ভালোভাবে আম্পায়ারিং করলে প্লে অফেও আম্পায়ারিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।

 

ক্রিকেটে সবসময়ই ক্রিকেটার এবং তাঁদের বিভিন্ন রেকর্ডের কথা বলা হয়। সেইসব নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু যাঁরা এই ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনা করেন, সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা অনেকটাই উপেক্ষিত। খুব কমই এমন ক্রিকেটপ্রেমী আছেন যাঁরা আম্পায়ারদেরও চেনেন। ভাবতেই পারেন আজ হঠাৎ আম্পায়ারদের নিয়ে এমন আবেগপ্রবণ হচ্ছি কেন? আসলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথমবারের জন্য আইপিএলে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চন্দননগরের অভিজিৎ ভট্টাচার্য। চলুন আজ কথা হোক তাঁকে নিয়েই।

৫১ বছর বয়সী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বাড়ি ভদ্রেশ্বরের কালীতলায়। পরিবারের সঙ্গে থাকেন চন্দননগরের চারমন্দিরতলার বাড়িতে। কিছুটা বড় বয়সে ডানহাতি ব্য়াটার হিসেবে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। অফস্পিন বোলিংও করতেন। কলকাতা ময়দানে প্রথম ডিভিশনে খেলেছেন। স্বপ্ন ছিল রঞ্জি খেলার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পরে কোচিং শুরু করেন। কিন্তু খাপ খাওয়াতে পারেননি।

মাঠে বিসিসিআই আম্পায়ারদের কদর তাঁকে খুবই টানত। আন্তর্জাতিক স্তরের আম্পায়ার শেখর চৌধুরি, অলোক ভট্টাচার্য, অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকান্ত পাঠক, সুশান্ত পাঠকদের দেখে উৎসাহিত হতেন। ২০০৭ সালে আম্পায়ারিংয়ের পরীক্ষায় পাশ করেন। তারপর বিসিসিআইয়ের পরীক্ষাতেও পাশ করেন। এরপর ফ্রান্সিস গোমসের কাছে ট্রেনিং নেন তিনি। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। রঞ্জি, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি, দলীপ ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি সবেতেই আম্পায়ারিং করেছেন।

২০২৩ সালে আইপিএলে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে সেবার চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত বছর উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও আম্পায়ারিং করেন তিনি। এক রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড় হিসাবে যে স্বপ্ন পূরণ হয়নি, তার অনেকটাই হচ্ছে আম্পায়ারিংয়ে। এ জন্য আমি সিএবি’র প্রতিও কৃতজ্ঞ।’

এ বার ২০২৫-এ নিজের জীবনেই শুধু প্রথমবার নয়, বরং প্রথম বাঙালি হিসেবে আইপিএলের মাঠে প্রথমবার আম্পায়ারিং করলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। ২৪ মার্চ দিল্লি ও লখনউয়ের ম্যাচে প্রথম আম্পায়ারিং করলেন। চলতি মরসুমে মোট ছটি ম্য়াচে মাঠে এবং ৫টি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ছয়টি ম্য়াচে ভালোভাবে আম্পায়ারিং করলে প্লে অফেও আম্পায়ারিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।