IPL: আইপিএলে পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে পাওয়ারফুল ইনিংস কাদের?

IPL Powerplay: জানেন কি আইপিএলে পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন কারা? আজ চলুন জেনে নিই পাওয়ার প্লে-তে তেমনই ৫ বিধ্বংসী ইনিংসের কথা।

IPL: আইপিএলে পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে পাওয়ারফুল ইনিংস কাদের?
আইপিএলে পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে পাওয়ারফুল ইনিংস কাদের?Image Credit source: BCCI

| Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

May 25, 2025 | 1:02 PM

প্রথম ছয়েই ধামাকা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেটের ধাঁচকে বেশ কিছুটা পাল্টে দিয়েছে। সঙ্গে শাপে বর হয়েছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ! সেখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় লিগ আইপিএলের বেশ কিছুটা প্রভাব রয়েছেই। বর্তমানে ধরে খেলার দিন শেষ। প্রথম বল থেকেই আক্রমণ। পাওয়ার প্লে-তে সার্কেলের বাইরে মাত্র দু’জন ফিল্ডারের সুযোগ নিয়ে বোলারদের তুলোধোনা করেন ব্যাটাররা। জানেন কি আইপিএলে পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন কারা? আজ চলুন জেনে নিই পাওয়ার প্লে-তে তেমনই ৫ বিধ্বংসী ইনিংসের কথা।

তালিকায় প্রথমে রয়েছে ২০২৪ সালে হায়দরাবাদের এক ইনিংস। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। ম্যাচটি ছিল দিল্লির বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে নেমে পাওয়ার প্লে-তে মোট ১২৫ রান করে ‘ট্রাভিষেক’ জুটি। পাওয়ার প্লে-র ৩৬টি বলের ২৬টি বল খেলে মোট ৮৪ রান করেন ট্রাভিস হেড, আর বাকি ১০ বল খেলে ৪০ রান করেন অভিষেক শর্মা। মোট ৬ ওভারের মধ্য়ে প্রথম ওভারে সবচেয়ে কম ১৯ রান হয়েছিল। ওই ম্য়াচে ৭ উইকেট হারিয়ে মোট ২৬৬ রান করে হায়দরাবাদ। ওই জুটি পাওয়ার প্লেতে মোট ১১টি ছয় এবং ১৩টি চার মেরেছিলেন।

এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানেও অরেঞ্জ আর্মির আরেকটি ইনিংস রয়েছে। এটিও ২০২৪ সালেই, সেই ট্রাভিষেক জুটিরই করা। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানের টার্গেট দেয় লখনউ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই পাওয়ার প্লেতেই ১০৭ রান চেজ করে হায়দরাবাদ। ৬২ বল বাকি থাকতেই উইকেট না হারিয়ে রান তাড়া করে ফেলেন ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। পাওয়ার প্লে-তে ৩৬ বলে ১৩টি চার এবং ৮টি ছক্কা হাঁকায় হায়দরাবাদের ওপেনিং জুটি।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ১০৫ রানের একটি ইনিংস। ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল কেকেআর। প্রথমে ব্যাট করে নাইটদের ১৫৯ রানের টার্গেট দেয় বেঙ্গালুরু। রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই ১০৫ রান করে ফেলে কলকাতা। ব্য়াট করতে নেমেছিলেন ক্রিস লিন ও সুনীল নারিন। মোট ৮টি ছক্কা ও ১১টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ওই রানে পৌঁছে যায় কেকেআর।

এই তালিকার চারে রয়েছে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে চেন্নাই সুপার কিংসের এক ইনিংস। তখন পঞ্জাব কিংসের নাম ছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। ২২৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছিল চেন্নাই। চেজ করতে নেমে প্রথম ছয় ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছিল চেন্নাই। মোট ৬টি ছক্কা এবং ১২টি বাউন্ডারির সাহায্যে সেই রানে পৌঁছেছিল চেন্নাই। কিন্তু এরপরও সেদিন ভাগ্য় সঙ্গ দেয়নি সিএসকের। ২৪ রানে হেরে গিয়ে আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছিল চেন্নাই।

পাওয়ার প্লে-তে ধামাকা দেখানো ৫ ইনিংসের তালিকায় পাঁচে রয়েছে চলতি মরসুমে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের একটি ইনিংস। নতুন মরসুম, কিন্তু সেই পুরনো ‘ট্রাভিষেক’ জুটি। পাশাপাশি ছিলেন ঈশান কিষাণ। গত মরসুমের মত অতটা ভালো খেলতে পারেননি ট্রাভিস ও অভিষেক। তবে রাজস্থানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ব্য়াটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লে-তেই এক উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান করে হায়দরাবাদ। প্রথম ৬ ওভারে মোট ১৫টি চার ও ৩টি ছয় মারে অরেঞ্জ আর্মি।