
কলকাতা: বাংলার গর্ব রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। এই প্রথম বার তাঁর হাত ধরে বাংলা বিশ্বজয়ের স্বাদ পেল। তাঁর জন্য ইডেনে আয়োজিত হয়েছিল এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। যেখানে বসেছিল চাঁদের হাট। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ও ঝুলন গোস্বামীরা সেই সংবর্ধনা জ্ঞাপনের মঞ্চে হাজির ছিলেন। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সিএবির সভাপতি সৌরভকে নিয়ে বড় কথা বলেছেন। বাংলার জন্য, ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য সৌরভ যা করেছেন, সেই অবদান কখনও ভোলার নয়। এ কথা বলার পাশাপাশি মমতা জানিয়েছেন, তাঁর মতে আইসিসি প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা ছিল সৌরভের।
রিচার জন্য যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল সিএবি, সেই মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “সৌরভের পরিচয় বিশ্বজোড়া। আজ ও সিএবির প্রেসিডেন্ট, এটা সৌরভের পরিচয় নয়। ওর পরিচয় বিশ্বজোড়া, সারা পৃথিবী জোড়া। আর এই ইডেন গার্ডেন্স অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। আমি ইডেন গার্ডেন্স বলি না। আমি বলি গোল্ডেন গার্ডেন। এখানে অনেক সোনা তৈরি হয়। সৌরভ অনেক দিয়েছে। একটা সিন মনে পড়ে, গেঞ্জি খুলে দৌড়েছিল। খেলাধুলায় বাংলা সবসময় এগিয়ে থাকে। সৌরভ দীর্ঘদিন ভারতের অধিনায়কও ছিল। আমি অপ্রিয় সত্যি কথা বলে দিই। আজ আইসিসি প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা কার ছিল? সৌরভের। ও ছাড়া কেউ নয়। আজ হয়নি। তবে ওকে আটকানো সহজ নয়। একদিন ও আইসিসি প্রেসিডেন্ট হবেই।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে। ক্রিকেট দুনিয়ায় কম রাজনীতি হয় না। যে সময় জয় শাহ আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন, তখন ক্রিকেট মহলে একাধিকবার আলোচনা হয়েছিল, আইসিসির মসনদে সৌরভ বসার দাবিদার। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, রিচার সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী যেন বোঝাতে চাইলেন, বাংলাকে বঞ্চিত করলেও, বাংলা ঠিক একদিন জবাব দেবে।
সেই মঞ্চ থেকে মমতা আরও বলেন, “১৯৯১ সালে যখন ইউথ ও স্পোর্টস মিনিস্টার হয়েছিলাম। আমার হাত দিয়ে নইম, সুব্রত ভট্টাচার্য, আচরেকর পুরস্কার পেয়েছিল। বুলা চৌধুরী পুরস্কার পেয়েছিল। অপ্রিয় সত্যি যদি বলি, বুলা একবার এসে বলেছিল দিদি আমার অর্জুন পুরস্কার চাই। আমি ওকে বলেছিলাম একটা শর্তে দেব। তুমি ৮ মাস প্রেম-ট্রেম করবে না। ৮ মাস কমনওয়েলথের জন্য প্রস্তুতি নেবে। ৮টায় ৬টা জিততে হবে। তুমি নিশ্চয়ই পাবে। ও কথা রেখেছিল, সত্যিই করে দেখিয়েছিল। পিটি ঊষাকেও দিয়েও অনেক কাজ করিয়েছি। আমি স্পোর্টস পলিসি চালু করেছিলাম। ঝুলনরা ক্রিকেটের জন্য জীবনপাত করেছে। আজ কর্মের ফল পেয়েছে রিচারা। রিচার সঙ্গে তাঁর বন্ধু, পুরো ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”