কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়া ভারতীয় টিমের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? অনেকেই ভাবতে পারেন, এই প্রশ্ন আসছে কেন। তার কারণ রয়েছে। ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর পুনে টেস্টের আগে জানিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা নিয়ে আলোচনা হয়, তার নিরিখে কোনও ক্রিকেটারকে টিমে নেওয়া হয় না। সত্যিই কি তাই? এই প্রশ্ন আরও একবার জোরাল হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের টি-২০ সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা হওয়ার পর। কারণ সেখানে নেই রাজধানী এক্সপ্রেস মায়াঙ্ক যাদবের (Mayank Yadav) নাম। এর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার যোগ কোথায়?
কয়েকদিন আগেই মায়াঙ্ক যাদবের ভারতের জার্সিতে টি-২০ ডেবিউ হয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে টি-২০ অভিষেক সিরিজে নজরও কেড়েছিলেন তিনি। এক টি-২০ সিরিজ খেলার পরই তিনি নেই পরবর্তী সিরিজে। বোর্ড জানিয়েছে, চোটের কারণে প্রোটিয়া সফরে নেই মায়াঙ্ক। এরপর প্রশ্ন উঠছে তিনি কি আদৌ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের খেলার জন্য তৈরি ছিলেন? নাকি তাঁর ক্ষেত্রে পাবলিক ডিমান্ড শুনেছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট? দর্শক চাইছিল মায়াঙ্ককে খেলানো হোক। তাঁকে খেলানো নিয়ে কি বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ভারতীয় টিম। উঠছে সেই প্রশ্ন।
এক্ষেত্রে হর্ষিত রানার কথাও ওঠে। ক্রিকেট মহল বলছে রানার মতোই মায়াঙ্ককে গ্রুম করানো উচিত ছিল। কারণ কেকেআর পেসারকে জিম্বাবোয়ে সফরে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এরপর দলীপ ট্রফিতে খেলানো হয়। শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজেও ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে খেলানো গেল না। আর মায়াঙ্ক প্রথম বার ডাক পেয়েই ৩ খানা ম্যাচ খেলে নিলেন। এমন নয় যে অন্য বোলার ছিল না বলে মায়াঙ্ককে খেলাতে হয়েছে। টিমে এমন অনেক বোলার থাকে, যাঁদের দলের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কেমন হয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেমন হয় সেটা বোঝার সুযোগ দেওয়া হয়। অতীতেও এমনটা হয়েছে অনেক বোলারের সঙ্গে। এই জিনিসগুলোও হয়তো মায়াঙ্কের সঙ্গে করা যেত।
মায়াঙ্ক যে একটা সিরিজ খেলেই চোটের কারণে বাদ পড়লেন তা অনেক প্রভাবিত করবে তাঁকে। পরবর্তীতে তিনি যখন টিমে ফিরবেন, পারফরম্যান্সে একটা প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি মানসিক দিক থেকেও চাপ হবে তাঁর। হয়তো মায়াঙ্কের মাথায় ঘুরবে, ভালো পারফর্ম না করলে দল থেকে বাদ পড়ার সম্ভবনা থাকবে। আর পারফর্ম করার জন্য অতিরিক্ত চাপ দিলে তিনি চোট পেতে পারেন, এই ভাবনাও ঘুরতে পারে তাঁর মনে। আর এই দোলাচল একটা ইসু হয়ে দাঁড়াতে পারে। যা তাঁর কেরিয়ারও শেষ করে দিতে পারে।