কলকাতা: পান্ডিয়া ব্রাদার্স বর্তমানে আইপিএলে (IPL) ব্যস্ত। হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলতি মরসুমে খেলছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। এই টিমের অধিনায়ক তিনি। বৃহস্পতিবার রাতেই রয়েছে মুম্বইয়ের ম্যাচ। আর ক্রুণাল (Krunal Pandya) খেলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে। আগামিকাল রয়েছে লখনউয়ের ম্যাচ। বরোদার এই দুই ক্রিকেটার যখন ব্যস্ত কোটি টাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে, সেই সময় তাঁদের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা হয়েছে। আর এই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদেরই ভাই বৈভব পান্ডিয়া।
মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হার্দিক-ক্রুণালের সৎ ভাই বৈভব পান্ডিয়া তাঁদের সঙ্গে প্রায় ৪.৩ কোটি টাকার আর্থিক তছরূপ করেছেন। যার ফলে বড় সড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে হার্দিক এবং ক্রুণালের। ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, হার্দিক ও ক্রুণালের সৎ ভাই বৈভব ২০২১ সালে পলিমার কোম্পানি চালু করেন। যেখানে হার্দিক ও ক্রুণালের বিনিয়োগ ছিল ৪০ শতাংশ করেন। আর বৈভব ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করেন। এই হারেই কোম্পানির যা লাভ হবে, তা বণ্টন করার কথা ছিল।
পরবর্তীতে বৈভব একই ব্যবসা করার জন্য এরপর চুক্তি ভেঙে অন্য একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। এ বিষয়ে তিনি হার্দিক ও ক্রুণালকে কিছু জানননি। যার ফলে এই তিন ভাইয়ের যে প্রথম কোম্পানি ছিল, তার প্রচুর ক্ষতি হয়। কিন্তু হার্দিক-ক্রুণালের সৎ ভাই বৈভবের লাভ রাতারিত ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩.৩ শতাংশ হয়ে যায়। যার ফলে ক্ষতির মুখে পড়েন ক্রুণাল ও হার্দিক। পাশাপাশি বৈভবের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাঁদের তিন ভাইয়ের কোম্পানি থেকে লক্ষাধিক টাকা অন্যত্র সরানোর।
হার্দিক ও ক্রুণাল এই বিষয়ে বৈভবের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তাঁদের সৎ ভাই। এরপরই হার্দিক ও ক্রুণাল তাঁদের ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বৈভবকে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করেছে।