
বিরাট কোহলিকে চেনেন? ক্রিকেট প্রেমী মাত্রই বিরাটকে চেনেন। তেমনই এবি ডিভিলিয়ার্সকেও। হঠাৎ যদি দেখেন মোবাইলের স্ক্রিনে এই নাম দুটো ভেসে আসছে! অর্থাৎ ফোন করছেন বিরাট কোহলি! আবার এবি ডিভিলিয়ার্সও! অথচ ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে তাঁরা চেনেই না। কোটি কোটি ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীর মধ্যে আপনিও একজন। অনুভূতিটা কেমন হবে? উচ্ছ্বাস হতে পারে, ভয়ও। একটু নার্ভাসনেস। সব মিলিয়ে মিশিয়ে একটা অদ্ভূত অনুভূতি। ছত্তিশগঢ়ের যুবকের সঙ্গে এমনই হয়েছে। দুই বন্ধু সেই কথাই জানিয়েছেন। গল্পটা কিন্তু সত্যিই। মানে আসল বিরাট কোহলি এবং এবি ডিভিলিয়ার্সই ফোন করেছিলেন।
ছত্তিশগঢ়ের দুই যুবক মণীশ বিষি ও তাঁর বন্ধু খেমরাজের এমন অভিজ্ঞতাই হয়েছিল। সিনেমার চেয়েও রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। স্থানীয় দোকান থেকে একটি সিম কিনেছিলেন মণীশ। তারপরই জোরালো ঝটকা। সিম চালু করতেই নানা ক্রিকেটারের ফোন। আসল কারণ, সেই নম্বরটি একটা সময় ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারের। ফলে তাঁর অনেক ক্রিকেটার বন্ধুই রজতকে ফোন করছিলেন। যে নম্বরটা ছিল মণীশ ও খেমরাজের কাছে। আর এই ফোন করা ক্রিকেটারদের তালিকায় ছিলেন বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্স।
দুই বন্ধু হোয়টসঅ্যাপ ইন্সটল করতেই দেখতে পান, ডিপিতে রজত পাতিদারের ছবি। ভেবেছিলেন ফোনে কোনও সমস্যা রয়েছে। গত ১৫ জুলাই তাদের খোদ রজত পাতিদারের ফোন আসে। রজত তাঁদের বলে, নম্বরটি রিটার্ন করে দিতে। সাইবারসেলেও জানিয়েছিলেন রজত। পুলিশ এসে সমস্যার সমাধান করেন।
পুরো ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে উত্তেজনায় ফুটছিলেন দুই বন্ধু। যাঁকে আদর্শ মানেন সেই বিরাট কোহলির ফোন! সংবাদসংস্থা পিটিআইকে খেমরাজ বলেন, ‘স্বপ্নেও কোনও দিন ভাবিনি বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলব। তাও আবার নিজের গ্রামে থেকে। বিরাট ইংরেজিতে কথা বলছিল। আমরা অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি। কিন্তু কেমন একটা উত্তেজনা হচ্ছিল। মণীশের কাছে যখনই এমন ফোন আসত, ও আমাকে মোবাইলটা ধরিয়ে দিত। বিরাট, যশ দয়ালরা বলত, আমরা কেন রজত পাতিদারের নম্বর ব্যবহার করছি। বোঝানোর চেষ্টা করেছি, আমরা নতুন সিমই কিনেছিলাম, এটা আমাদের নম্বর।’
গ্রামে বেশিরভাগই আরসিবির সমর্থক। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় সকলের মধ্যেই ব্যাপক উত্তেজনা কাজ করছিল। মণীশের দাদা বলেন, ‘পুরো বিষয়টাই একটা ভুলবোঝাবুঝিতেই হয়েছিল। কিন্তু ওদের সঙ্গে কথা বলাটা পুরোটাই ভাগ্য। সকলে বিরাট, ওদের সামনে দেখার কল্পনা করে। আমরা কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।’ পুরোটাই অবশ্য টেলিকম সংস্থার নিয়মের কারণেই হয়েছে। কোনও নম্বর ৯০ দিন ধরে অ্যাক্টিভ না থাকলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। নতুন করে সেই নম্বরটি অন্য কাউকে বেঁচে দেয় টেলিকম সংস্থা। রজত পাতিদারের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।