দুই ক্রিকেটার, লক্ষ্য এক। কিন্তু হঠাৎ শেষ বলে পরিস্থিতি এ ভাবে বদলে যাবে! তৃতীয় দিনের শেষে ভারত পিছিয়ে আরও ১২৫ রানে। দিনের খেলা শেষের আগে কোনও সমস্যা বলে মনে হচ্ছিল না। তার কারণ দুই ক্ষুধার্ত ব্যাটার ক্রিজে ছিলেন। প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে খেলাই হয়নি। দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু হলেও ব্যাকফুটেই ছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। দেশের মাটিতে এমন লজ্জার সামনে পড়তে হবে কেউই প্রত্যাশা করেননি। জবাবে নিউজিল্যান্ড করে ৪০২ রান! এরপরও ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখেছে ভারত। বর্তমান টিমটা যে এমনই!
দীর্ঘ সময় বড় ইনিংস না খেলা বিরাট কোহলি, অন্য দিকে, ভালো পারফর্ম করেও একাদশে সুযোগ না পাওয়া সরফরাজ খান। এই দুই ব্যাটার ক্রিজে থাকায় যা কিছু সম্ভব। কিন্তু দিনের খেলার শেষ ওভারে হৃদস্পন্দন যেন থেমে গেল। মাত্র একটা ডেলিভারির জন্য! তার আগে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে প্রথম স্লিপে বিরাট কোহলির ক্যাচ ফসকান এজাজ প্যাটেল। ডাবল নিতে গিয়ে রান আউট হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করেন বিরাট কোহলি। দুরন্ত ডাইভে স্বস্তি। কিন্তু শেষ বলে আর কিছুই হল না। গ্লেন ফিলিপসের স্ট্রেটারে ব্যাটে সামান্য ছোঁয়া। ফিলিপস রীতিমতো হাইজাম্পারের মতো লাফিয়ে উঠলেন। আম্পায়ারও আউট দেন। বিরাট কোহলি রিভিউ নিয়েছিলেন। স্নিকোতে ধরা পড়ে, সামান্য টাচ।
নিউজিল্যান্ড শিবির একরাশ স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করতে পারল। রাতে অন্তত এটা ভেবে ঘুমোতে পারবেন কিউয়ি বোলাররা, সকালে এসে বিরাট কোহলিকে আউটের পরিকল্পনা করতে পারবে না। ২৩১-২ স্কোরেই দিন শেষ করতে পারত ভারত। শেষ বলের উইকেটেই স্কোরলাইনে সামান্য পরিবর্তন হল। ৭০ রানে ফেরেন বিরাট। ক্রিজে রয়েছেন সরফরাজ খান। তিনিও ৭০ রানে। চতুর্থ দিন ভারতের প্রাথমিক লক্ষ্য ইনিংস হার আটকানো। এরপর পরবর্তী লক্ষ্য। লোকাল-বয় লোকেশ রাহুলের উপর বড় দায়িত্ব।