ভারত-নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শুরুতেই একঝাঁক হতাশা। এ যেন গত অস্ট্রেলিয়া সফরের মতো। প্রথম টেস্টে ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। শেষ অবধি সিরিজ জিতেই ফিরেছিল। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট ভারত। বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে পুরোপুরি পণ্ড হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টি থাবা বসালেও খেলা হল। কিন্তু ম্যাচের আগেই ব্যাকফুটে ভারত। কম্বিনেশনেও বদল করতে বাধ্য হয়। শুভমন গিলকে চোটের কারণে না পাওয়া যাওয়ায় ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল করতে হয়। যা জোরালো ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় শিবিরে। মাত্র ৪৬ রানের পুঁজি নিয়ে বোলারদের উপর বাড়তি চাপ। ফিল্ডিংয়েও হতাশ করেছে ভারত। এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।
ইংল্যান্ড সিরিজ হোক বা বাংলাদেশ। ভারতীয় দল যে প্রয়োজনে বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে পারে দেখিয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিল ভারত। তবে সদ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অন্যমাত্রায় ব্যাটিং দেখা গিয়েছে। ৮-র উপর রান রেটে ইনিংস সাজিয়েছিল ভারত। প্রত্যেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিলেন। বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপ এবং নিউজিল্যান্ডের আক্রমণ যে এক নয় তা আলাদা করে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। তারপরও ঘুরে দাঁড়াতে ভরসা এটিই।
ভারতের ৪৬ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ইতিমধ্যেই ১৮০ রান তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ড যে একাদশ বেছে নিয়েছে তাতে টিম সাউদি অবধি ব্যাটিং কন্টিনিউ করতে পারে বলাই যায়। এজাজ প্যাটেল কিংবা উইলিয়াম ও’রুরকি হয়তো একটা দিক আগলে রাখতে পারবেন। ম্যাচের তৃতীয় দিন ভারতের প্রথম টার্গেটই থাকবে নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করা। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৩০০ রান করলে এই ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যাবে।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা খুবই ভাইটাল হতে চলেছে। জসপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজ যদি প্রথম সেশনে উইকেট তুলতে না পারেন, চাপ আরও বাড়বে। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের এখনও অবধি তিনটি উইকেট স্পিনারদের দখলেই। বিশেষ করে বুমরার উইকেট না পাওয়াটা সবচেয়ে হতাশার। নিউজিল্যান্ডকে দ্রুত অলআউট করে ভারতকে টি-টোয়েন্টির মেজাজে খেলতে হবে। এই ম্যাচ ড্রয়ের জন্য খেললে হারের সম্ভাবনা বাড়বে ভারতের। দ্বিতীয় দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের লিড ইতিমধ্যেই ১৩৪ রানের। চালকের আসনে কিউয়িরাই।