
কলকাতা: চলতি মরসুমে টানা চার ম্যাচে হার সিএসকের। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে প্রথম হার থেকেই চরম বিতর্ক চলছে মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিং পজিশন নিয়ে। কেন ৯ নম্বরে নামানো হয়েছে তাঁকে? কেন এমন সময় নামানো হয়েছে, যখন হাতের বাইরে চলে গিয়েছে ম্যাচ? হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং জানিয়েছিলেন, হাঁটুর যা অবস্থা তাতে টানা ১০ ওভার ব্য়াট করার জায়গায় নেই ধোনি। পরের ম্যাচ থেকে ৭ নম্বরে নামানো হয় ধোনিকে। কিন্তু, ব্য়াট হাতে সেই ফিনিশার ধোনির ঝলক দেখতে পাওয়া যায়নি। হারের হ্যাটট্রিকেও থামেনি সিএসকে। আপাতত চারে-চার করে ফেলেছে। হার কি জয়ে পাল্টাবে না?
এ বারের আইপিএলে ধোনিকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। ৪৩-য়েও দুরন্ত কিপিং। ব্যাটিং অর্ডারের বদল। এবং অবসর। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্য়াচে গ্যালারিতে ধোনির বাবা-মাকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। তখন থেকেই অবসর নিয়ে শুরু হয় নতুন জল্পনা। সেই ম্যাচে ২৬ বলে ৩০ রান করেন ধোনি। কিন্তু, দলকে জেতাতে পারেননি। একের পর এক হার ঘরের মাঠে। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাতে ধোনির উপরেও যে চাপ বাড়ছে না, তা নয়। মঙ্গলবার পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে দলের পরাজয়ের পর প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা বলেন, চেন্নাই সুপার কিংসের সমস্যা এমএস ধোনি নন। ধোনিকে ৮ বা ৯ নম্বরে ব্যাটে নামানোর জন্য সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু এই ম্যাচে সে রকম কোনও সমস্যা ছিল না। ৫ নম্বরে নেমেছিলেন দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। ১২ বলে ২৭ রানও করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
উথাপ্পা বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না যে চেন্নাইয়ের সমস্যা এমএস ধোনি। ওর উদ্দেশ্য ঠিকই ছিল। মাঠের বাইরেও অন্যদের উপর দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে ধোনি। টিমের বাকি ক্রিকেটারদের স্পষ্ট ধারণা দিয়ে রেখেছে যে আগামী বছরগুলিতে সিএসকে-কে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে কী কী করা উচিত। সেই পরিবর্তন ঘটছে। ও যেখানে ব্যাট করতে নামছে তা ভালোই, হয়তো আর একটু উপরে নামতে পারে। আমার মনে হয় না যে শেষের দিকে সমস্যা রয়েছে।’
ধোনি এই আইপিএলে পাঁচটি ম্যাচে ব্যাট করে ১০৩ রান করেছেন। তবে ম্যাচে যখন প্রচুর রান দরকার, তখন আগে চার ছয় না মেরে ম্যাচগুলিকে আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছেন। যা করতেই তিনি চিরকাল অভ্যস্ত। প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগ, আরসিবির বিরুদ্ধে খেলার পরে রসিকতা করেছিলেন যে এমএস ধোনি ম্যাচে খুব তাড়াতাড়ি ব্যাট করতে নেমেছিলেন।