Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IPL 2025 DC: ‘বাঘের’ গর্জনে হাত কামড়াচ্ছে পঞ্জাব কিংস! গব্বরের ছাত্রই দিল্লির নতুন সেনসেশন

Delhi Capitals-Ashutosh Sharma: পুরনো জায়গা ছেড়ে এগিয়ে গিয়েছেন এক তরুণ ক্রিকেটারও। বলা ভালো, বাধ্য হয়েছেন। দায়িত্ব কিন্তু একই রয়ে গিয়েছে। জার্সি বদলেছে, ভূমিকা নয়।

IPL 2025 DC: 'বাঘের' গর্জনে হাত কামড়াচ্ছে পঞ্জাব কিংস! গব্বরের ছাত্রই দিল্লির নতুন সেনসেশন
Image Credit source: BCCI
Follow Us:
| Updated on: Mar 25, 2025 | 7:57 PM

ইটস নট ওভার, আনটিল ইটস ওভার…। জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি মেনে চলা হয়। সত্যিই তো। হাল ছেড়ে দিলে কী করে হবে। ক্রিকেটের মতো অনিশ্চিয়তার খেলাতেও তাই। এ যেন প্রকৃতির মতো। খামখেয়ালি। ইচ্ছেমতো তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বরং তার নিয়মের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। পুরনো জায়গা ছেড়ে এগিয়ে গিয়েছেন এক তরুণ ক্রিকেটারও। বলা ভালো, বাধ্য হয়েছেন। দায়িত্ব কিন্তু একই রয়ে গিয়েছে। জার্সি বদলেছে, ভূমিকা নয়।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৮তম সংস্করণ চলছে। মেগা অকশনের আগে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে যেন মাথাব্যথাও। রিটেনশন নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। RTM কার্ড এবং রিটেনশন। সব মিলিয়ে ছ’জন প্লেয়ারকে রাখা যেত। একটা সিদ্ধান্তে বাজিমাত করেছিল পঞ্জাব। তাঁরা মাত্র দুই আনক্যাপড প্লেয়ারকে রাখে। এর ফলে লাভ হয়েছে। পার্সে সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়ে অকশনে নামতে পেরেছিল পঞ্জাব। কিন্তু ক্ষতিও কি হয়েছিল?

পঞ্জাব যে দুই আনক্যাপড প্লেয়ারকে রিটেন করেছিল, তাঁরা হলেন প্রভসিমরন সিং ও শশাঙ্ক সিং। আশুতোষ শর্মা হাতছাড়া হয়। মেগা অকশনে একটা সুযোগ নিয়েছিলেন প্রীতি-পন্টিংরা। কিন্তু ফেরাতে পারেননি। আনক্যাপড আশুতোষের জন্য খুব বেশিদূর এগোতে রাজিও ছিল না। শেষ অবধি তাঁকে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। এই সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল, দীর্ঘমেয়াদী ফল কঠিন। কিন্তু শুরুটা অন্তত বলে দিচ্ছে, দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত।

গত আইপিএলে দুই তরুণের ‘আবিষ্কার’ করেছিল পঞ্জাব কিংস। তাঁদের একজন আশুতোষ। অনেক ম্যাচেই হেরে যাওয়ার পরিস্থিতি থেকে পঞ্জাবকে টেনে তুলেছেন এই দু-জন। কখনও জেতাতে পেরেছেন, আবার কখনও খুব কাছে গিয়েও জয় আসেনি। কিন্তু দু-জনেই ছাপ ফেলেছিলেন। সেই আশুতোষ শর্মা দিল্লির জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই লখনউয়ের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছেন। যেখানে মনে হচ্ছিল লখনউয়ের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ওই যে, ‘ক্যায়া সে ক্যায়া হো গয়া’। পাঁচটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি। শেষ দিকে যেমন ম্যাচের হাইলাইটস চলছিল।

আইসিসি টুর্নামেন্ট এলেই জ্বলে উঠতেন শিখর ধাওয়ান। তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে খেলেছেন আশুতোষ। অনেক আগে থেকেই গব্বরের সঙ্গে পরিচয়। শিখর ধাওয়ানকে মেন্টর মানেন। সেই গব্বর যে একজন বব্বর শের তৈরি করেছেন, সময়ের সঙ্গে সেই বার্তাই দিয়ে চলেছেন আশুতোষ শর্মা। আর তাঁকে নতুন টিমে আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন দিল্লির মেন্টর কেভিন পিটারসন। কে জানে, পঞ্জাব শিবির হয়তো দিল্লি-লখনউ ম্যাচ দেখে আপশোস করেছে!