IPL 2021: মিলার-মরিসে জয়ের স্বাদ পেলেন সঞ্জু

এ বারের আইপিএলের (IPL) ক্যাচলাইন হতে পারে— লো স্কোরিং, হাই প্রেসার! তবে চেন্নাইয়ের চিপকের মতো মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে এত অল্প রান পছন্দ করে না। দিল্লি-রাজস্থান ম্যাচে কিছুটা ব্যতিক্রমী দেখাল ওয়াংখেড়েকে। বল ঘুরল, লাফাল, থমকে এল। যে চাপের সামনে দিল্লি সে ভাবে মেলেই ধরতে পারল না নিজেকে।

IPL 2021: মিলার-মরিসে জয়ের স্বাদ পেলেন সঞ্জু
সৌজন্যে-আইপিএল টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2021 | 9:28 AM

অভিষেক সেনগুপ্ত

দিল্লি ক্যাপিটালস ১৪৭/৮ (২০ ওভারে)

রাজস্থান রয়্যালস ১৫০/৭ (২০ ওভারে)

ঋষভ পন্থ বনাম সঞ্জু স্যামসন— ওয়াংখেড়ের বৃহস্পতি-সন্ধের ক্যাচলাইন ছিল এটাই। দুই তরুণ কিপার, দুই তরুণ ক্যাপ্টেনের লড়াই। সঞ্জু আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও এই ম্যাচে ৪-এ ফিরে গিয়েছিলেন। শুরুতে ৫১ করা পন্থই বরং জয়ের সোনালি রেখা দেখতে পাচ্ছিলেন। টি-টোয়েন্টির এই এক মজা, এক-একটা বলে খেলার মোড় ঘুরে যায়। দিল্লির (Delhi Capitals) ১৪৭/৮ তাড়া করতে নেমে ৪২/৫ হয়ে গিয়েছিল রাজস্থান (Rajastan Royals)। সেখান থেকেও জয় এনে দিলেন ডেভিড মিলার আর ক্রিস মরিস।

আইপিএলে হঠাৎ উঠে আসা তারকার পাওয়ার অনেক কিছু থাকে। হারানোর থাকে না। কিন্তু যাঁর দাম বিপুল, তাঁকে সব সময় তাড়া করে চাপ। বিরাট কোহলি, এবি ডে ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্রিস মরিসদের এই চাপটা নিয়েই খেলতে হয়। পারফর্মও করতে হয়। আগের ম্যাচে শেষ বলে ছয় রান করতে না পারায় হারতে হয়েছিল রাজস্থানকে। দিল্লি ম্যাচে সেই ছয় মেরেই ম্যাচ জিতল সঞ্জুর টিম। আর সেই কাজটা সাবলীল করে গেলেন আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার মরিস। সাড়ে ১৬ কোটি দাম। ম্যাচ প্রতি এক কোটিরও বেশি। মরিস যেন নিজের দায়িত্বটা পালন করলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার যখন ক্রিজে এসেছিলেন, স্কোরবোর্ডে ৯০/৬। ১৪.৫ ওভার হয়ে গিয়েছে। বাকি ৩১ বলে দরকার ৫৮ রান। আইপিএলে শেষ ওভারে এই রান খুব একটা চাপের নয়। কিন্তু উইকেটও তখন হাতে নেই। মিলার ৬২ করে ফিরে গিয়েছেন। মরিস সেখান থেকেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন। ১৮ বলে খেলে নট আউট ৩৬। সঙ্গে চারটে বল হারানো ছক্কা।

এ বারের আইপিএলের ক্যাচলাইন হতে পারে— লো স্কোরিং, হাই প্রেসার! তবে চেন্নাইয়ের চিপকের মতো মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে এত অল্প রান পছন্দ করে না। দিল্লি-রাজস্থান ম্যাচে কিছুটা ব্যতিক্রমী দেখাল ওয়াংখেড়েকে। বল ঘুরল, লাফাল, থমকে এল। যে চাপের সামনে দিল্লি সে ভাবে মেলেই ধরতে পারল না নিজেকে। পৃথ্বী শ (২), শিখর ধাওয়ান (৯), অজিঙ্ক রাহানেরা (৮) পর পর ফিরে গিয়েছিলেন। দিল্লিকে শুরুতেই ভাঙার কাজটা অবশ্য করে গিয়েছিলেন জয়দেব উনাদকট। ঘরোয়া ক্রিকেটে যত সফল তিনি, আইপিএলে ইদানীং ততটা নন। সব অভিযোগের জবাব দিলেন যেন। বাঁ হাতি পেসার ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা যত্ন নিয়েই শুরু করছিলেন ক্যাপ্টেন পন্থ। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল রাজস্থান বোলারদের। ৯টা চার দিয়ে ৩২ বলে ৫১। রান আউট না হলে অন্য রকম হতেও পারত। পন্থ ছাড়া দিল্লির আর কেউই রান পেলেন না।

দিল্লি যে ভাবে ভেঙে পড়েছিল, রাজস্থানের শুরুটাও ঠিক তেমনই। ক্রিস ওকস, কাগিসো রাবাডা, আবেশ খানের ধাক্কায় টপ অর্ডার ডাগআউটে। জস বাটলার (২), মনন ভোরা (৯), সঞ্জু (৪), শিবম দুবেরা (২) ফিরে গিয়েছেন। এরপর আর কী থাকতে পারে? কেউ একজন লড়বেন কিছুটা। আরও একটা ম্যাচ হারবে রাজস্থান। এই জন্যই আইপিএলকে দেওয়া হয়েছে নতুন নাম— ভাবো কম, খেলো বেশি! মিলার আর মরিসরা যে কাজটা করে গেলেন নিষ্ঠা নিয়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: দিল্লি ক্যাপিটালস ১৪৭/৮ (পন্থ ৫১, টম ২১, ললিত ২০, উনাদকট ৩/১৫, মুস্তাফিজুর ২/২৯)। রাজস্থান রয়্যালস ১৫০/৭ (মিলার ৬২, মরিস নট আউট ৩৬, রাহুল ১৯, আবেশ ৩/৩২, ওকস ২/২২। রাবাডা ২/৩০)।

আরও পড়ুন: RR vs DC, IPL 2021 Match 7 Result: রাজস্থানের জয়ের নায়ক আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার মরিস