কলকাতা: দু’শোর বেশি আইপিএল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি দেশের অন্যতম সেরা স্পিনার। ক্রিকেট বিশ্বে তাঁর মতো স্পিন ভেল্কি দেখানো বোলার কমই রয়েছেন। সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে এ বারের মেগা নিলামের আগে রিটেন করেনি তাঁর শেষ আইপিএল টিম রাজস্থান রয়্যালস। তাঁকে দলে নিতে যে একাধিক টিম আগ্রহী, তেমনটা অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। তামিলনাড়ুর অলরাউন্ডারকে পঁচিশের আইপিএলের মেগা নিলামে নেওয়ার জন্য যে দলগুলোর মধ্যে দর কষাকষি চলল সেগুলো হল চেন্নাই, আরসিবি, রাজস্থান।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্য শুরুতেই চেন্নাই বিড করে। এরপর লড়াইয়ে নামে লখনউ। দ্রুতই সেখানে আরসিবি প্রবেশ করে। রাজস্থান নামে লড়াইয়ে। পিঙ্ক আর্মি ৫ কোটি বিড করতেই সিএসকে ৫.২৫ কোটি ডাকে। সিএসকে ও রাজস্থানের লড়াই হয়। ৯.৭৫ কোটিতে রাজস্থান দান ছেড়ে দেয়। যার ফলে চেন্নাই সুপার কিংস ৯.৭৫ কোটিতে পেল রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে।
২০০৮ সালে শুরু হয় আইপিএল। সে বছরই ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নজরে পড়ে চেন্নাই সুপার কিংসের। কিন্তু সে বছর একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ২০০৯ সালে তাঁর সিএসকে জার্সিতে আইপিএল অভিষেক হয়। তারপর থেকে আইপিএলে তিনি ২১২টি ম্যাচ খেলেছেন। আইপিএল কেরিয়ারে তাঁর নামে রয়েছে ১৮০টি উইকেট। এবং ৮০০ রান।
টানা ৮ বছর চেন্নাই শিবিরে ছিলেন অশ্বিন। ইয়েলো ব্রিগেডের হয়ে ২০১০ ও ২০১১ দু’বার আইপিএল ট্রফিও জিতেছেন। পাশাপাশি ২০১১ ও ২০১৪ সালে চেন্নাইয়ের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদও পান তিনি। ২০১৫ সালে সিএসকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ইতি হয়। এরপর ২০১৬-১৭ তিনি রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসে খেলেছেন। ২০১৮-১৯ আইপিএল মরসুম তাঁর কেটেছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবে। এরপর ২০২০-২১ সময়টা দিল্লি ক্যাপিটালসে কাটিয়েছেন অশ্বিন। দিল্লিতে ট্রেডিংয়ে আসেন তিনি। সেই মরসুমে ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বাধিক উইকেটশিকারী হন তিনি। এরপর ২০২১ নিলামের আগে তাঁকে রিটেন করে দিল্লি। ২০২২ সাল থেকে রাজস্থান রয়্যালসের অংশ ছিলেন তিনি। বাইশের আইপিএলের আগে পিঙ্ক আর্মি অশ্বিনকে ৫ কোটি টাকায় কেনে। আইপিএলের শেষ মরসুমে অশ্বিন নেন ৯টি উইকেট ও করেন ৮৬ রান।
এ বার দেখার প্রায় ১০ কোটি ছুঁই ছুঁই ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন চেন্নাইয়ে কেমন পারফর্ম করেন।