
টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া সেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি রিঙ্কু সিংয়ের। স্ট্যান্ড বাই হিসেবে টিমের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। বাকিরা যেমন প্র্যাক্টিসে মনোযোগ দিয়েছিলেন, রিঙ্কু সিংয়ের মধ্যেও ছিল সেই একই এনার্জি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেলিব্রেশনের সঙ্গে স্বপ্ন ছিল। পরবর্তী বিশ্বকাপে টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠবেন। তবে এ বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সীমিত সুযোগে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকাও নিশ্চিত ছিল না। এশিয়া কাপে মাত্র একটি ডেলিভারি খেললেন, তাতেই উইনিং রান। মিলিয়ে দিলেন নিজের লেখা স্ক্রিপ্ট।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকলেও ম্যাচে সুযোগ পাচ্ছিলেন রিঙ্কু সিং। দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে শিবম দুবে ও হার্দিক পান্ডিয়াকে খেলানো হচ্ছিল। কিন্তু ওই যে, রিঙ্কু সবসময়ই টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনে করেন নিজেকে। পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে নামতে হয়েছে। প্রত্যাশিত ভাবেই সর্বস্ব দিয়েছেন। হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে সরাসরি ফাইনাল ম্যাচে খেলার সুযোগ। আর তারপর অবিশ্বাস্য অনুভূতির সামনে রিঙ্কু। তিলক ভার্মা ছয় মারেন, এরপর সিঙ্গল নিয়ে স্কোর লেভেল করেন। রিঙ্কু স্ট্রাইক পান। বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন।
টুর্নামেন্টের শুরুতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ব্রডকাস্টারের তরফে ম্যানিফেস্টো জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। সেখানে রিঙ্কু বলেছিলেন, তিনি চাইবেন, খেলার সুযোগ মিলুক এবং উইনিং রান তাঁর ব্য়াটেই আসুক। কাগজে লিখেও দিয়েছিলেন,উইন রান। সেই রান তাঁর ব্যাটেই এল। টুর্নামেন্টে এক বল খেলেই ম্যাচ উইনার রিঙ্কু বলেন, ‘আমাকে ফিনিশার বলা হয়। যখনই সুযোগ পাব, ম্যাচ ফিনিশ করে আসারই চেষ্টা করব।’ উইনিং শট নিয়ে তাঁর দৌড় ছিল দেখার মতো। বিশ্বকাপের দৌড় যেন এখান থেকেই শুরু করে দিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রিয় রিঙ্কু সিং।