Rinku Singh: ধোনিই তৈরি করেছেন ফিনিশার রিঙ্কুকে, আফগান ম্যাচের পর বললেন নায়ক
MS Dhoni: আলিগড়ের ছেলে যে ব্যাট হাতে তছনছ করে দিতে পারেন বিপক্ষের বোলিং, তা দেখাতে শুরু করেছেন ভারতের জার্সি গায়ে। কেকেআরের রিঙ্কুকে এখন ফিনিশার বলা হচ্ছে। রিঙ্কুর তাতে আপত্তি নেই। তবে সবিনয়ে জানাচ্ছেন, মহেন্দ্র সিং ধোনিই তাঁকে ফিনিশার তৈরি করেছেন। ধোনির টিমে কখনও খেলেননি, তাও ধোনির কোচিং ঠিক পেয়েছেন।

কলকাতা: ৬ বলে ৫টা ছয়ের গল্প এখনও শিহরণ জাগায়। গত মরসুমে কেকেআরের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ইনিংস বাছতে হলে ওই ম্যাচের কথাই বলতে হবে। স্রেফ একটা ইনিংস আলোয় পৌঁছে দিয়েছে রিঙ্কু সিংকে (Rinku Singh)। আলিগড়ের ছেলে যে ব্যাট হাতে তছনছ করে দিতে পারেন বিপক্ষের বোলিং, তা দেখাতে শুরু করেছেন ভারতের জার্সি গায়ে। কেকেআরের রিঙ্কুকে এখন ফিনিশার বলা হচ্ছে। রিঙ্কুর তাতে আপত্তি নেই। তবে সবিনয়ে জানাচ্ছেন, মহেন্দ্র সিং ধোনিই তাঁকে ফিনিশার তৈরি করেছেন। ধোনির (MS Dhoni) টিমে কখনও খেলেননি, তাও ধোনির কোচিং ঠিক পেয়েছেন। মাহি ভাইকে নিয়ে কী বললেন রিঙ্কু?
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৯ বলে ১৬* রান করেছেন। সঙ্গে ২টো চার। মোহালিতে শিবম দুবে একদিকে যখন ঝড় বইয়ে দিচ্ছেন, উল্টো দিকে রিঙ্কুও রানের গতি বজায় রেখেছিলেন। ম্যাচের পর জিও সিনেমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “গত বছর আইপিএলে মাহি ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। ওই সময় আমাকে এমন কিছু পরামর্শ দিয়েছিল যা আমি সব সময় মাথায় রেখে এগোই। বলতে পারেন মাহি ভাইয়ের পরামর্শেই আমার ব্যাটিং আরও ভালো হয়েছে। মাহি ভাই দুটো জিনিস বলেছিল, ‘সব সময় বর্তমানে থাকার চেষ্টা করবে। আর নিজেকে ফোকাসড রাখবে। সেই সঙ্গে বোলারকে বল করার সুযোগ আগে দেবে। বলের মান অনুযায়ী তুমি তোমার খেলাটা খেলো।’ এই দুটো পরামর্শ কাজে লাগিয়েই আমি খেলার চেষ্টা করি।”
টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে রিঙ্কুর উত্থান যেমন ধূমকেতুর মতো, তেমনই সাফল্যের মধ্যেই রেখেছেন নিজেকে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করছেন। টি-২০ বিশ্বকাপের টিমে জায়গা পাওয়ার অন্যতম দাবিদারও। তাঁর মতো ফিনিশারকে বাদ দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলা যাবে না, এমনও বলতে শুরু করেছেন প্রাক্তনরা। দেশের হয়ে ১৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলে ২৭৮ রান করেছেন। গড় ৬৯.৫। রিঙ্কু বলছেন, ‘রান করাটা অভ্যেসের মধ্যে রাখতে চাই। আমি যে জায়গায় ব্যাট করতে নামি, সেখানে ফিনিশার হয়ে ওঠার প্রচুর সম্ভবনা থাকে। মোহালির তীব্র ঠাণ্ডাতেও ব্যাট করতে খারাপ লাগেনি। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় বল ধরতে গিয়ে হাতে কিন্তু লাগছিল।’





