
আইপিএলে (IPL) চলছে রিভেঞ্জ উইক। অর্থাৎ বদলার সপ্তাহ। প্রতি টিমই চাইছে অপরকে ছাপিয়ে যেতে। দ্বিতীয় লেগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির। এরই মাঝে সঞ্জু স্যামসনের টিম রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। কয়েকদিন আগে পিঙ্ক আর্মির বিরুদ্ধে উঠেছিল ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ। রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাড-হক কমিটির আহ্বায়ক জয়দীপ বিহানি এই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন সঞ্জুর দলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে মুখ খুলেছে রাজস্থান শিবির এবং বোর্ডের এক কর্তা।
লখনউয়ের কাছে ২ রানে হারের পর রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাড-হক কমিটির কনভেনর রাজস্থান টিমের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ তুলেছিলেন। তার পাল্টা দিয়েছে রাজস্থান শিবির। রয়্যালসের পক্ষ থেকে এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের অভিযোগ শুধুমাত্র বিভ্রান্তিকর নয়, বরং ক্রিকেটের অখণ্ডতাকেও কলঙ্কিত করে। এবং আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির সুনামেরও ক্ষতি করছে।’
পিঙ্ক আর্মির এক কর্তা এও জানান যে, আইপিএল শুরুর সময় বিসিসিআই যাবতীয় গাইডলাইন দিয়েছিল। বর্তমানে রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অস্তিত্ব নেই। যার ফলে সমস্ত ব্যবস্থাপনার জন্য রাজস্থান স্টেট স্পোর্টস কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। আরসিএর অ্যাড হক কমিটির সদস্যরা অসন্তুষ্ট। কারণ তাদের লোকজন প্রচুর পরিমাণে টিকিট চাইছিল। আর সেটা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ক্রিকেট মহলে আলোচনা হচ্ছে যে, হয়তো রাজস্থান দলকে কালিমালিপ্ত করতে এমন বিভ্রান্তকর খবর ছড়ানো হয়েছে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তা বলেন, ‘আরসিএ বর্তমানে বিলীন রয়েছে। যে কারণে অ্যাড হক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর সামনেই নির্বাচন। যে কারণে প্রচুর নাটক চলছে। সকলে প্রচার চাইছে। বোর্ডের দুর্নীতি-দমন শাখা ২৪x৭ নজর রাখছে। যেন এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। এই সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর কোনও সত্যতা নেই।’