
কলকাতা: কেউ তাঁর সঙ্গে তুলনা করছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিনের। তারকার ভিড় থেকে হঠাৎ করে যখন ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল আজহারকে। গত শতাব্দীর নয়ের দশকে আজহারের কাঁধেই নতুন ভারত পাড়ি দিয়েছিল বিদেশে। ধীরে ধীরে সাফল্যও এসেছিল। কেউ আবার তাঁর সঙ্গে তুলনা করছেন গ্রেম স্মিথের। ২০০৩ সালের ওয়ান বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর যখন কোণঠাসা, তখন ২২ বছরের এক তরুণকে সামনে এগিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শন পোলককে সরিয়ে তাঁকেই ক্যাপ্টেন করা হয় ইংল্যান্ড সফরে। জয়যাত্রার সেই শুরু দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্মিথের। দু-দুটো ডাবল সেঞ্চুরি, সিরিজের সর্বোচ্চ রান, সেরা ক্রিকেটারের সম্মান, ২-২ সিরিজ— গ্রেম স্মিথের উত্তরণ দেখেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তেমনই কি দেখা যাবে শুভমন গিলের ক্ষেত্রেও?
সঞ্জয় মঞ্জরেকরের মতো ক্রিকেটার কিন্তু গিলে ভরসা রাখছেন। তাঁর মন্তব্য, শুভমনের হারানোর কিছু নেই। বরং তিনি যা করবেন, টিমকে নতুন দিশা দেখাবে। গত বছর থেকেই নেতৃত্বের বৃত্তে পা রেখেছেন পঞ্জাবের ছেলে। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সকে প্লে-অফেও তুলেছিলেন। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার অবসরের পর তাঁকে ছাড়া বিকল্প হিসেবে আর কাউকে ভাবাই যেত না। হয়ওনি। কাল থেকে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। এই টেস্টে পরীক্ষায় বসবেন গিল। তার আগে মঞ্জরেকর কিন্তু আশার কথা শোনালেন।
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘এ বারের ভারতের সঙ্গে ৯০-এর ভারতীয় টিমের অনেক মিল দেখতে পাচ্ছি। সেবার আমরা নিউজিল্যান্ড সফরের আগে তরুণ ক্রিকেটার মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল। একই রকম অ্যাডভান্টেজ শুভমন গিলও পাবে। আমার তো মনে হয়, গিলের হারানোর কিছু নেই। বড় নাম আর টিমে নেই। বুমরাও ক্যাপ্টেন নয়। গিল নিজের কাজটা করতে পারবে। অকারণে চাপ নিতে হবে না ওকে। নির্বাচকরা বড় দায়িত্ব দিয়েছে ওকে। আমি কিন্তু ওর পাশেই থাকছি।’
শুধু শুভমনই নন, একই সঙ্গে কোচ গৌতম গম্ভীরের কাজটাও অনেক সহজ হয়ে গেল বলে মনে করছেন মঞ্জরেকর। ক্রিকইনফোকে তিনি বলেছেন, ‘গম্ভীর নিশ্চিত ভাবেই তরুণ ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কাজ করাটা উপভোগ করবে। কোচ হিসেবে সূর্যকুমার যাদব আর রোহিত শর্মার সঙ্গে কাজ করার সময় ব্যাপারটা অন্য। এই কারণেই আমার মনে হয়, কোচ আর ক্যাপ্টেনের সম্পর্কের রসায়ন গড়ে উঠতে দেখা যাবে এ বার।’