টানা দু-ম্যাচে হার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্ষেত্রে এমনটা নতুন নয়। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচ বারই রোহিত শর্মার নেতৃত্বে। এ বার তিনি ক্যাপ্টেন নন। তবে এই পরিস্থিতি আগেও দেখেছেন। শুরুতে টানা হেরেও ঘুরে দাঁড়ানোর রেকর্ড রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। এমনকি চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও। রোহিত ক্যাপ্টেন থাকলে হয়তো মুম্বই সমর্থকরা জোর দিয়ে বলতে পারতেন, এটা কোনও ব্যাপার নয়। এ মরসুমে প্রথম দু-ম্যাচেই হার। কী বলছেন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এ বারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচ জিততেই পারত মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। হার্দিকের ভুলে ভরা ক্যাপ্টেন্সি, টাইটান্সের স্লগ ওভারে অনবদ্য বোলিং। জয়ের খুব কাছ থেকেও হেরেছিল মুম্বই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটুকু দেখা গিয়েছে। বোর্ডে ২৭৮ রানের টার্গেট। তারপরও হাল ছাড়েনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এটাই যেন বড় প্রাপ্তি। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ছয় বাঁচানো, মায়াঙ্ক মার্কন্ডে, শাহবাজ আহমেদের বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিংও পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এই রানটা কি তাড়া করা যেত?
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, ‘দারুণ ব্যাটিং পিচ ছিল। তারপরও বলতে হয়, ২৭৭ রানের পর পিচ কেমন, কারা ভালো বোলিং করল কিংবা কে ভালো ব্যাটিং করল, পার্থক্য করা কঠিন। প্রতিপক্ষ যখন ২৭৭ রান করে, এর অর্থ দাঁড়ায় ওরা ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের বোলাররা যথেষ্ঠ চেষ্টা করেছে। খুবই ক্লোজ ম্যাচ হয়েছে।’ এত ইতিবাচক কথার পরও বোলিং আক্রমণ ‘অনভিজ্ঞ’ বলছেন হার্দিক!
জসপ্রীত বুমরা, হার্দিক পান্ডিয়া, পীযুষ চাওলা, জেরাল্ড কোৎজে, কোয়েনা মাপাখা। শেষের দু-জনকে বাদ দিলে মুম্বই বোলিং লাইন আপকে অনভিজ্ঞ বলা যায় কি? ১৭ বছরের মাপাখাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন হার্দিক। অভিষেক ম্যাচে ছাপ ফেলতে না পারলেও মাপাখার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল মনে করছেন। হার্দিক বলছেন, ‘আমরা হয়তো আরও ভালো করতে পারতাম। তবে আমাদের বোলিং লাইন আপ অনভিজ্ঞ। মাপাখার প্রথম ম্যাচ ছিল। এত দর্শকের সামনে খেলছে। ওর কলিজা বড়। ওর ওভারে রান উঠলেও ভেঙে পড়েনি।’
ব্যাটারদের লড়াই অবশ্য মুগ্ধ করেছে হার্দিককে। ভুললেন না রোহিতের কথাও। বলেন, ‘প্রত্যেকেই ভালো ব্যাটিং করেছে। তিলক, রো (রোহিত শর্মা), ঈশান। আমাদের শুধু কয়েকটা জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন। তা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’