কলকাতা: প্রথম মরসুমটা বোধহয় ভুলে যেতে চাইবেন তিনি। একদিকে প্রত্যাবর্তন ছিল ভীষণই অসুখের। অন্য দিকে ছিল না পারিবারিক শান্তিও। সব মিলিয়ে তিনি যেন হারিয়েই ফেলেছিলেন নিজেকে। সবচেয়ে বড় কথা, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ভক্তরা তাঁকে কোনও ভাবেই গ্রহণ করতে চাইছিলেন না। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল। নতুন নেতাকে ঘিরে ক্ষোভ বিক্ষোভও উগড় দিয়েছিলেন তাঁরা। পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিতে পারতেন। যদি টিম ভালো খেলত। তাও হয়নি। উল্টে টিমের অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্স আরও চাপে ফেলে দিয়েছিল। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন প্রবল ভাবে। রাশিয়ান স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁর। তারপর আবার দু-দুটো আইসিস ট্রফিজয়ী টিমের সদস্য। সেই হার্দিক পান্ডিয়া কিন্তু এ বারের আইপিএলে মুম্বইকে সাফল্য দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
২২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে দেশের সামার ফেস্টিভাল। বিউগল বেজে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের প্রস্তুতি। তারই মধ্যে হার্দিক বলে দিয়েছেন, ‘এ বারও আমাদের টিমে অভিজ্ঞতার ভরপুর। এমন তারকা রয়েছে টিমে, যাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ব্য়াপারটা কিন্তু খুব রোমাঞ্চকর। দল হিসেবে মাঠে নেমে সফল ভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করাটাই একমাত্র লক্ষ্য। যদি সেটা করতে পারি, আমাদের সামনে কিন্তু ভালো সময় অপেক্ষা করে থাকবে।’
এ বারও মুম্বইয়ের টিমে তারকার ছড়াছড়ি। রোহিত থেকে শুরু করে সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মাদের দেখতে পাওয়া যাবে। জসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। তবে, টিমের যা গভীরতা, তাতে যে কোনও টিমের বিরুদ্ধে সেরাটা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে মুম্বইয়ের। আর সেই কারণেই আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে ক্যাপ্টেন হার্দিককে। ওয়াংখেড়ের মতো মাঠে ব্যাটে ঝড় উঠবেই। বোলিংটাই চ্যালেঞ্জ হবে। সে কথা মাথায় রেখেই বোলিং নিয়েই ছক তৈরি করতে চাইছেন হার্দিকের। তাঁর কথায়, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী বরাবর আমরা প্লেয়ার নিই। ওয়াংখেড়ের চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য়ই হচ্ছে, একটা শক্তিশালী বোলিং বিভাগ তৈরি করা। ওয়াংখেড়েতে সব সময় হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়। সেই কারণেই অভিজ্ঞতা আছে, গতি এবং সুইং আর বাউন্স থাকবে, এমন বোলারদের নিয়েই বোলিং বিভাগ সাজানো হবে।’