AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tristan Stubbs: প্রথম প্রেম সাহায্য করেছে দ্বিতীয় প্রেমে! জীবন বদলে গিয়েছে ত্রিস্তান স্টাবসের

IPL 2025, DC: আইপিএলের দুনিয়ায় নিজের পরিচিতি বাড়াচ্ছেন স্টাবস। ২০২৪ সাল থেকে দিল্লি ক্যাপিটালসের সদস্য তিনি। এ বারের আইপিএলের মেগা নিলামের আগে দিল্লি তাঁকে ১০ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে রেখেছিল। এ মরসুমে এখনও দিল্লি জার্সিতে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

Tristan Stubbs: প্রথম প্রেম সাহায্য করেছে দ্বিতীয় প্রেমে! জীবন বদলে গিয়েছে ত্রিস্তান স্টাবসের
Tristan Stubbs: প্রথম প্রেম সাহায্য করেছে দ্বিতীয় প্রেমে! জীবন বদলে গিয়েছে ত্রিস্তান স্টাবসেরImage Credit: PTI
| Updated on: Apr 17, 2025 | 3:47 PM
Share

ক্রিকেট হোক বা ফুটবল, দল বদল করলে প্লেয়ারদের ভাগ্য বদলায়? কোনও কোনও প্লেয়ার এক্ষেত্রে সফল হন, আবার কারও কপাল খুলতেই চায় না। আর ময়দান বদল করলে? এমন গল্প খুব বেশি শোনা যায় না। আজ আপনাদের শোনাই তেমন এক প্লেয়ারের গল্প। যিনি হকির ময়দান ছেড়ে বাইশ গজে হাত পাকিয়েছেন। পেয়েছেন সাফল্যও। এক সময় বাবার উপদেশ না শুনলে হকির টার্ফেই কাটত তাঁর দিন। ভাগ্যিস বাবার কথা শুনেছিলেন! এখন অবলীলায় বাইশ গজে পুল, সুইপ, রিভার্স সুইপ, সুইচ হিট, স্কুপ, স্ট্রেট ড্রাইভ মেরে চলেছেন সেই প্লেয়ার।

এ বার আসা যাক গল্পের নায়কে। ত্রিস্তান স্টাবস। প্রথম প্রেম হকি। তা ভুলতেই দ্বিতীয় প্রেম জীবন গড়ে দিয়েছে তাঁর। প্রোটিয়া ক্রিকেটার ত্রিস্তানের দ্বিতীয় প্রেম ক্রিকেট। পাওয়ার হিটার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। তাঁর বাবা জনপ্রিয় প্রোটিয়া হকি প্লেয়ার, ক্রিস স্টাবস। বাবাকে দেখেই হকির প্রতি ত্রিস্তান উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর বাবা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাননি। কিন্তু ঘরোয়া আঙিনায় বেশ পরিচিত ছিলেন। ১৯৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল ভারতীয় হকি টিম। প্রোটিয়া জাতীয় দলের প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে ভারতের প্লেয়াররা খেলার আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলে সাদার্ন ট্রান্সভালের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ ভারত ৫-০ ব্যবধানে জেতে। সাদার্নের হয়ে সেই ম্যাচ খেলেছিলেন ক্রিস। তাঁর মতে হকির দুনিয়া খুবই জটিল। হকিতে আর্থিক নিশ্চয়তা সেই অর্থে নেই, মনে করেন ক্রিস স্টাবস। তাই ছেলেকে ক্রিকেট খেলতে উৎসাহী করেন।

বছর ২৪ এর ত্রিস্তান যাতে ২২ গজে শক্তিশালী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, তাই তাঁর বাবা ব্যাটের আগে তাঁর হাতে হকি স্টিক তুলে দিয়েছিলেন। শক্তি অর্জন, টাইমিংয়ে পরিণত, বলে কন্ট্রোল এগুলো যাতে ত্রিস্তান ভালো রপ্ত করতে পারেন, সেটাই চাইতেন ক্রিস। ছেলের গায়ে জোর আনা, হাত ও চোখের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার উপর জোর দিতেন ক্রিস। ছেলেবেলায় হকিতে হাত পাকানোর সুফল এখন ২২ গজে পাচ্ছেন ত্রিস্তান। পুল, সুইপ, রিভার্স সুইপ, স্কুপ, প্যাডল সুইপ, স্ট্রেট ড্রাইভ সবকিছুতেই সমান পারদর্শী দক্ষিণ আফ্রিকার রাইজিং স্টার।

আইপিএলের দুনিয়ায় নিজের পরিচিতি বাড়াচ্ছেন স্টাবস। ২০২৪ সাল থেকে দিল্লি ক্যাপিটালসের সদস্য তিনি। এ বারের আইপিএলের মেগা নিলামের আগে দিল্লি তাঁকে ১০ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করে রেখেছিল। এ মরসুমে এখনও দিল্লি জার্সিতে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। করেছেন ১৫২ রান। দলের প্রয়োজনে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ক্যামিও ইনিংস উপহার দিয়েছেন ত্রিস্তান। তাই ক্রিকেট মহলে আলোচনা চলছে প্রোটিয়া তরুণ তুর্কিকে নিয়ে।