
কলকাতা: আইপিএলে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েছেন বৈভব সূর্যবংশী (Vaibhav Suryavanshi)। মাত্র ১৪ বছর বয়সে শতরান করে হেডলাইনে বিহারের বৈভব। ম্যাচের পর থেকেই প্রশংসার ঝড়। মাস্টার ব্লাস্টার থেকে শুরু করে সকলেই মুগ্ধ বৈভবে। সাইমন কাটিচ আবার নামকরণ করেছেন ‘বেবি বস’। এ বার তাঁর পারফর্ম্যান্স নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর বাবা। জানালেন ঠিক কতটা খুশি তিনি। তাঁর কথায়, ছ’মাস আগেই বাড়িতে দিওয়ালি এসেছে।
ম্যাচের সময় যখন গুজরাটের অভিজ্ঞ বোলারদের বিরুদ্ধে একের পর এক ছয়-চার মারছিলেন, বাড়ির বাইরের রাস্তা আতসবাজির আওয়াজে মুখর করে তুলেছিল বৈভবের বন্ধুরা। বাইরে শুভাকাঙ্খীদের ভিড়। ম্যাচের পরে খুশিতে উচ্ছ্বসিত বৈভবের বাবা বলেন, ‘দিওয়ালি ছে মাহিনে পেহলে আ গয়ি…(৬ মাস আগেই দিওয়ালি চলে এসেছে…)।’
শুভমন গিল, সরফরাজ খান, অভিষেক শর্মা, পৃথ্বী শ-এর বাবাদের মতোই সঞ্জীব সূর্যবংশীও তাঁর অপূর্ণ ইচ্ছে তাঁর ছেলের মধ্যে দিয়ে পূরণ করার চেষ্টা করেছিলেন। শুভমন গিলের বাবা কেমন করে সিমেন্টের পিচ বানিয়ে গিলের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা পেপারে পড়েছিলেন বৈভবের বাবা। তারপর তেমনভাবেই বাড়ির পিছনে পিচ বানিয়ে বৈভবেরও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেন তিনি।
এক সময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে ছেলের ট্রেনিংয়েই পুরো সময় দিতেন বৈভবের বাবা। সোমবার বৈভবের শতরানের ইনিংসের পর তিনি বলেন, ‘৩৫ বলে শতরানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে রাজস্থানকে জিততে সাহায্য করেছে বৈভব। বাড়িতে একটা উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে।’
ম্যাচের পর রাজস্থানের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর ভূয়সী প্রশংসা করেন বৈভবের। তিনি বলেছেন, ‘ও খুবই প্রতিভাবান। ওর ভালো ব্যাটসুইং রয়েছে, যার জন্য ও প্রচুর পাওয়ার জেনারেট করতে পারে। ও ঠিক কতটা সমর্থ, আজ সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। সত্যিই ওই ইনিংসটা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা যায়।’
বিক্রম রাঠৌর আরও বলেন, ‘একটা ১৪ বছর বয়সের ছেলের জন্য এইভাবে খেলা, বিষয়টা খুই স্পেশাল। চার মাস আগে ট্রায়ালে বৈভবকে আমরা প্রথম দেখি। তখনই জানতাম অসাধারণ একজনকে আমরা খুঁজে পেয়েছি। এটা ওর কৃতিত্ব যে, নিজের স্নায়ু ধরে রেখেছে, দারুণ টেম্পারামেন্ট দেখিয়েছে আর আজ একটা অদ্ভুত একটা ইনিংস খেলেছে।’