কলকাতা: পুনর্জন্ম কারে কয়? এর উত্তর এই মুহূর্তে ভালোই দিতে পারবেন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার বরুণ চক্রবর্তী (Varun Chakaravarthy)। ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের পর তাঁর যে আবার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হবে, সেই আশাই হয়তো ছেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যে লেখা থাকলে খন্ডাবে কে? টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য আরও এক ক্রিকেটারের স্কোয়াডে আসার সুযোগ তৈরি হয়। মিনি বিশ্বকাপে পঞ্চম স্পিনার হিসেবে ভারতীয় স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন বরুণ। সেই তিনিই টুর্নামেন্টে মাত্র ৩ ম্যাচ খেলে যুগ্ম সর্বাধিক উইকেটশিকারী হয়েছেন। বছর চারেক আগে বরুণের জন্য জীবনটা অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। অজানা নম্বর থেকে পেতেন হুমকি ফোন। সেখানে দেশে না ফেরার হুমকি দেওয়া হত।
সেই বরুণই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করলেন। সম্প্রতি কেরিয়ারের কঠিন অধ্যায়ের রহস্য তুলে ধরেছেন মিস্ট্রি স্পিনার। যে সময় ভয়ে তাঁর গায়ে দিত কাঁটা। কী হয়েছিল বরুণের সঙ্গে? তিনি বলেন, ‘একটা সময় আমি রীতিমতো অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিলাম। অবসাদ গ্রাস করেছিল। আমি ২০২১ সালের বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণ করতে পারিনি। একটাও উইকেট পাইনি। তিন বছর পরের বিশ্বকাপে আমি ডাকও পাইনি। তাই আমার তো এটাই মনে হয় যে টিমে সুযোগ পাওয়ার থেকেও এই কামব্যাকটা আমার জন্য আরও কঠিন ছিল।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাফল্য ধরা দেওয়ার পর বরুণ অতীতে ফিরে গিয়ে বলেছেন, “একটা সময় আমাকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হত। বলা হত, ভারতে যেন না ফিরি। চেষ্টা করলেও নাকি আমাকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অনেকে আমাকে বাড়িতে খুঁজতে আসত। সেই সময় আমি লুকিয়ে থাকতাম। যখন আমি এয়ারপোর্ট থেকে ফিরেছিলাম, সেই সময় কয়েকজন আমাকে বাইক নিয়ে ফলেও করেছিল। ফ্যানদের আবেগ আমি বুঝি। কিন্তু যখন পিছনে ফিরে তাকাই অবাক হয়ে যাই। তবে কামব্যাক সফল হওয়ায় এখন আমি খুশি।”
উল্লেখ্য, এ বার বরুণ চক্রবর্তীকে অ্যাকশনে দেখা যাবে আইপিএলে। পঁচিশের আইপিএলের মেগা নিলামের আগে বরুণকে রিটেন করেছিল কেকেআর।