KL Rahul: ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স, কী বলছেন রাহুল?
India vs Australia: ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচ ১৯ মার্চ। ফিরছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই ম্য়াচের পর রাহুলের ক্ষেত্রে বলা যায়, একাদশে নিশ্চিত।
মুম্বই: সমালোচনা কি পুরোপুরি থামবে? হয়তো এখনও না। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআইতে এই পারফরম্য়ান্স লোকেশ রাহুলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এটুকু বলা যায়। তিন ফরম্যাটেই রানের খরা চলছিল। ক্রমশ পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছিলেন রাহুল। জাতীয় দলে তিনি আর এখন সহ অধিনায়ক নন। প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেন হার্দিক পান্ডিয়া। বাকি ম্যাচগুলিতে রোহিত নেতৃত্ব দেবেন। রাহুলের জন্য় ইতিবাচক দিক তাহলে কী? ঈশান কিষাণ একাদশে থাকা সত্ত্বেও উইকেটকিপিং করলেন রাহুল। শুধু তাই নয়, লেগ সাইডে দুটি অনবদ্য সেভ। যে দুটো বাউন্ডারি হতে পারতো। অধিনায়ক হার্দিকের বোলিংয়ে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কার্যত প্রথম স্লিপের ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন। ভারতের রান তাড়ায় সমস্য়ায় পড়া এবং সেখান থেকে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসে ম্যাচ জেতানো। ম্যাচ শেষে অনেক কথাই উঠে এল রাহুলের মুখে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
মহম্মদ সামির দ্বিতীয় স্পেল, সিরাজের অনবদ্য় বোলিং, জাডেজাদের সৌজন্য়ে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৮৮ রানেই অলআউট করে ভারত। এই রান সহজেই তাড়া করে জয় আসবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। কার্যক্ষেত্রে তা হল না। মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে ভারতও। শুভমন গিলের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লোকেশ রাহুল। এর পর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে আরও একটা জুটি। চাপ কাটল রাহুল-জাডেজা জুটিতে। ১২৩ বলে অপরাজিত ১০৮ রানের জুটিতে ম্য়াচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়ল রাহুল-জাডেজা। অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্সে ম্য়াচের সেরা জাডেজা। কিন্তু এ কথা বলতে এক বিন্দুও অত্য়ুক্তি হয় না, রাহুলের ইনিংসের সৌজন্য়েই ভারতের রান তাড়ায় আর কোনও অঘটন হয়নি। তাঁর জন্য়ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
ম্য়াচ জেতানো ইনিংসেও রাহুলের মুখে আমি নয়, ‘আমরা’। বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক থাকতে চেয়েছিলাম। লুজ বল এলে কাজে লাগাব, এটাই লক্ষ্য ছিল। পায়ের মুভমেন্ট ঠিক হলে রান করা কঠিন নয়। জাডেজার সঙ্গে পার্টনারশিপ করা সবসময়ই উপভোগ করি। বাঁ হাতি ব্য়াটার (জাডেজা) ক্রিজে আসতেই আমি বেশ কিছু লুজ বল পাই। ক্রিজে ডান-বাঁ হাতি কম্বিনেশন থাকলে বিশ্বের সেরা বোলারদের লাইন লেন্থে সমস্যা হয়। জাডেজার নামাটাই যেন টার্নিং পয়েন্ট। ও অনবদ্য ব্য়াটিং করেছে। জাডেজার রানিং বিটউইন দ্য় উইকেট খুবই ভালো। দারুণ ফর্মে রয়েছে, কোন পরিস্থিতি কী ভাবে কাজে লাগাতে হয়, খুব ভালো জানে।’
ব্য়ক্তিগত ভাবে তাঁর কী পরিকল্পনা ছিল? রাহুল বলছেন, ‘শুরুতেই তিন উইকেট হারাই। স্টার্ক সুইং করাচ্ছিল। বল কখনও বাইরে যাচ্ছে, কখনও ভেতরে আনছে। সে সময় টেকনিকে জোর দিই। কয়েকটা বাউন্ডারি পেতেই স্নায়ুর চাপ সামলে নিই। শুভমন, হার্দিক, জাডেজার সঙ্গে ব্য়াট করেছি। পিচ থেকে বোলাররা সুবিধা পেলেও, খোলসে ঢুকে থাকতে চাইনি। পরিকল্পনা ছিল, স্বাভাবিক খেলাই খেলব।’ ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচ ১৯ মার্চ। ফিরছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই ম্য়াচের পর রাহুলের ক্ষেত্রে বলা যায়, একাদশে নিশ্চিত।