
কলকাতা: পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের এই মরসুমটা একদমই ভালো যাচ্ছে না। একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলেছেন ধোনিরা। দলের পারফরম্যান্সে মোটেও খুশি নন কোচ ফ্লেমিং। চেন্নাই সুপার কিংসের টপ অর্ডার রানে ফিরতেই প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং কিছুটা হলেও স্বস্তিবোধ করেছেন। কিন্তু এই মরসুমে একের পর এক হার খুবই “হতাশাজনক” বলে মনে হয়েছে কিউয়ি কোচের। পঞ্জাব কিংসের ২২০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে চেন্নাই দলের টপ অর্ডার দারুণ ব্যাটিং করেছে। যদিও ১৮ রানে ম্যাচটি হারতে হয় চেন্নাইকে। দলের দুই কিউয়ি ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন গত রাতের ম্যাচে। রাচিনের ব্যাট থেকে এই ম্যাচে এসেছে ৩৬। কনওয়ের খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। তাও আসেনি জয়।
হলুদ জার্সিধারীদের হলটা কী? এই অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে সাংবাদিক সম্মেলনে পড়তে হয়েছে সিএসকের কোচকে। প্রশ্নের উত্তরে ফ্লেমিং বলেছেন, “এখনও অবধি এটা আমাদের কাছে হতাশাজনক মরসুম।” দল একাধিক জায়গায় খুব ভুল করছে। যে কারণে জয় আসছে না বলে মনে করছেন ফ্লেমিং। তাঁর কথায়, “আজকের ম্যাচে ক্যাচিং দুই দলেরই খুব খারাপ হয়েছে।” ফ্লেমিং উল্লেখ করছেন সিএসকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ১১টি ক্যাচ ফেলেছে। যার মধ্যে তিনটি ক্যাচ পড়েছে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে।
ফ্লেমিং আরও যোগ করেন, “মাঝের ওভারগুলিতে আমরা রান রেট ভালো রাখতে পারিনি। যে কারণে শেষ দিকে চাপ বেশি ছিল।” পঞ্জাব দলের নতুন তারকা প্রিয়াংশ আর্য, যিনি চেন্নাই ম্যাচে দুরন্ত শতরান করেন। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ চেন্নাই কোচ। পঞ্জাব কিংসের শশাঙ্ক সিং, যিনি ৩৬ বলে ৫২ রান করেছিলেন এবং দুটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েছিলেন, তাঁরা দলকে ৫ উইকেটে ৮৩ থেকে পুনরুদ্ধার করে ভালো জায়গায় নিয়ে যান। তিনি বলেন, রাজ্য-ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাগুলি আর্যের মতো প্রতিভা আবিষ্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফ্লেমিং এর মন্তব্য, “সত্যিই এই লিগগুলি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এই কারণেই আজ প্রিয়াংশ আর্য, দিগ্বেশ রাঠিদের মতো ভালো খেলোয়াড়দের দেখা যাচ্ছে।”