
হারের পর কথা বলা যে কোনও ক্যাপ্টেনের কাছেই কঠিন। এ মরসুমে প্রথম হারের পর রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও এটিকে সবচেয়ে কঠিন বিষয়, উল্লেখ করেছিলেন। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কেও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হল। এ মরসুমে ঘরের মাঠে হারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। আর বোর্ডে যখন ২১০ রান, চিন্তা কিসের! আইপিএলের ১৬ বছরের ইতিহাসে এই মাঠে এত বড় রান তাড়া করে কেউ জেতেনি। পরিসংখ্যানের দিক থেকে চেন্নাই দুর্গ অক্ষত রাখারই সুযোগ ছিল। কিন্তু সব হিসেব পাল্টে দিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ‘ওপেনার’!
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইনিংস ওপেন করেছেন মার্কাস স্টইনিস। লখনউ সুপার জায়ান্টসে মিডল অর্ডারে। একাধিক ওপেনিং বিকল্প। কাউকে না কাউকে জায়গা ছাড়তেই হত। ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেন করেন কুইন্টন ডি’কক। তবে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন। কার্যত ওপেনিংয়েই নামতে হল! ইনিংসের প্রথম ওভারেই ডি’ককের উইকেট হারায় লখনউ। তিনে নামানো হয় মার্কাস স্টইনিসকে। এটাই হয়ে দাঁড়ায় মাস্টারস্ট্রোক।
অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। লখনউকে সবচেয়ে চাপে ফেলেছিল চারে নামা ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার দেবদত্ত পাড়িক্কালের পারফরম্যান্স। ১৯ বলে ১৩ রান করেন। পাথিরানা তাঁর উইকেট নিয়ে যেন লখনউয়ের উপকারই করেছিলেন। নিকোলাস পুরান এবং মার্কাস স্টইনিস জুটি লখনউকে ম্যাচে ফেরায়। চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় বলছেন, ‘হার হজম করা সত্যিই কঠিন। তবে লখনউ দুর্দান্ত খেলেছে। ১৩ ওভার অবধি ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। তবে স্টইনিসকে কুর্নিশ।’