
ঘরের মাঠে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্য়বধানে জিতেছিল ভারত। তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ২-০। সিরিজ ইতিমধ্যেই পকেটে। ভারতের নজরে নিঃসন্দেহে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই সিরিজ ৩-০ জেতা। দ্বিতীয় ম্যাচটি অবশ্য সহজ ছিল না। প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ইংল্য়ান্ডের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি। মিডল অর্ডারও ভালো পারফর্ম করেছে। একটা সময় মনে হচ্ছিল ৩৫০ স্কোরও গড়তে পারে ইংল্য়ান্ড। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ৩০৪ রানেই অলআউট। রবীন্দ্র জাডেজা নাগপুরে প্রথম ম্যাচে তিন উইকেট নিয়েছিলেন। কটকেও তিন উইকেট। যদিও শিরোনামে রোহিত শর্মা। ম্যাচ শেষে কী বললেন রবীন্দ্র জাডেজা?
ভারতীয় শিবিরে জোড়া চিন্তা ছিল। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ফর্ম। বিরাটের চিন্তা থাকলই। চোখধাঁধানো একটি অনড্রাইভে খাতা খোলেন। কিন্তু ইনিংস বড় হয়নি। আদিল রশিদের টার্নিং ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন। মাত্র ৫ রানেই ফেরেন বিরাট কোহলি। রোহিত অবশ্য ফর্মে ফিরেছেন বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে। ৯০ বলে ১১৯ রান করেন ভারত অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রবীন্দ্র জাডেজা বলেন, বাইরে যতই সমালোচনা হোক, রোহিতকে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন না তাঁরা।
জাডেজার কথায়, ‘হতে পারে পুরো বিশ্বই রোহিতের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি এমন নয়। রোহিত গ্রেট প্লেয়ার। ও জানে কী ভাবে ইনিংস গড়তে হয়। অপেক্ষা ছিল একটা ভালো ইনিংসের। আজ সেটা সকলেই দেখেছে। ওর ব্যাটিং দেখে এক মুহূর্তের জন্য়ও মনে হয়নি যে ও আগের কয়েক ইনিংসে রান পায়নি। শটগুলি মসৃণ। প্রতিটা ডেলিভারিতেই আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। সবই সাধারণ মনে হয়েছে।’
রোহিতকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। জাডেজা অবশ্য মনে করেন, গ্রেট প্লেয়ারদের নিয়ে প্যানিক করা উচিত নয়। জাডেজার কথায়, ‘কখনও এক-দুটো ইনিংস প্রয়োজন পড়ে। সব পাল্টে যায়। সবচেয়ে ভালো দিক, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্টের আগে রোহিত এই সেঞ্চুরিটা করল। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। টিমের জন্য় দুর্দান্ত বিষয়। ও নিজেই ভালো জানে। ফর্ম নিয়ে ওর সঙ্গে আলোচনার কোনও প্রয়োজন পড়ে না।’