Jacob Bethell: বার্বাডোজ টু বেঙ্গালুরু, ভায়া ইংল্যান্ড! বেথেল অনেকটা যেন আর্চারের মতো, কিন্তু পুরোপুরি নয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজে জন্ম। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে। অনেকটা জোফ্রা আর্চারের মতোই। ২০০৩ সালে বার্বাডোজে এক ক্রীড়াপ্রেমী পরিবারে জন্ম। দাদু আর্থার বেথেল বার্বাডোজের হয়ে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট খেলেছিলেন। ছেলেবেলাতেই বেথেলের মধ্যে ক্রিকেটের প্রতিভা প্রমাণিত।

Apr 29, 2025 | 6:06 PM

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রতি মরসুমেই নতুন প্রতিভাদের দেখা যায়। এবারও নিলামের পর থেকে আলোচনায় ছিলেন জেকব বেথেল। ইংল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার। কিন্তু আইপিএলের মতো মঞ্চে স্কোয়াডে জায়গা পাওয়াই সব নয়। একাদশে সুযোগ পেতে ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হয়। দিল্লির মাঠে অবশেষে সেই সুযোগ এসেছে বেথেলের। তাঁর সফরটা বলা যেতে পারে বার্বাডোজ টু বেঙ্গালুরু, ভায়া ইংল্যান্ড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে জন্ম। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে। অনেকটা জোফ্রা আর্চারের মতোই। ২০০৩ সালে বার্বাডোজে এক ক্রীড়াপ্রেমী পরিবারে জন্ম। দাদু আর্থার বেথেল বার্বাডোজের হয়ে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট খেলেছিলেন। ছেলেবেলাতেই বেথেলের মধ্যে ক্রিকেটের প্রতিভা প্রমাণিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেটে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার জেতেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ইংল্য়ান্ডে পাড়ি। তারপর নিজের খেলার ধার বাড়াতে থাকেন।

ওয়ার উইক শায়ারের যুব দলে যোগ দেন। ২০২১ সালে ১৭ বছর বয়সে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অভিষেক হয়। বাইশ গজে খুঁটি শক্ত হতে থাকে। সে বছরই লিস্ট-এ ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কিংবদন্তি ইয়ান বেল ‘সেরা ১৭ বছর বয়সী’ বলেন বেথেলকে। ২০২২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন। ধাপে ধাপে উঠে আসা শুরু হয় সেখান থেকেই।

পরবর্তী দু-বছর ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। ২০২৪ সাল তাঁর কাছে যুগান্তকারী মরসুম হিসেবে প্রমাণিত হয়। কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ার এবং ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে বার্মিংহ্যাম ফিনিক্সের হয়ে দুর্ধর্ষ পারফর্ম্যান্স করেন। যার সৌজন্যে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে ডাক পান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। সেই ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও ধীরে ধীরে ভরসা দেন। ইংল্যান্ডের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলার সুযোগ হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন রেনেগাডস, দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি লিগে পার্ল রয়্যালস এবং এবার আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ছাপ ফেলছেন। ভারত সফর এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ইংল্যান্ড স্কোয়াডে ছিলেন বেথেল। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্টে খেলা হয়নি। ভারত সফরেই চোট, যার জেরে ছিটকে যান।

আরসিবি জার্সিতে নেটেই কাটছিল। দিল্লির মাঠে চোটের কারণে খেলতে পারেননি ফিল সল্ট। পরিবর্তে আইপিএল অভিষেক হয় জেকব বেথেলের। বিরাট কোহলির সঙ্গে ওপেনিংয়ে! এ যেন তাঁর কাছে রূপকথার মতো। শুরুটা অবশ্য সুখের হয়নি। আরসিবির মতো টিম। যেখানে ক্রিস গেইল, এবিডি, দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিরা খেলেছেন। বিরাট কোহলি খেলছেন। সেই দলের হয়ে ডেবিউ যে সহজ হবে না, সেটাই স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও প্রথম ম্য়াচে ২০০-র স্ট্রাইক রেটে ৬ বলে ১২ রান।

স্কোরটা সামান্য হতে পারে। বলা যায়, একটা ঝলক কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছেন জেকব। আরও সুযোগ পেলে, নজর কাড়বেন, এই প্রত্যাশা রাখাই যায়। আইপিএল যে প্রত্যেকের কাছেই নায়ক হয়ে ওঠার মঞ্চ। সুযোগটা কাজে লাগানো জরুরি।

 

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রতি মরসুমেই নতুন প্রতিভাদের দেখা যায়। এবারও নিলামের পর থেকে আলোচনায় ছিলেন জেকব বেথেল। ইংল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার। কিন্তু আইপিএলের মতো মঞ্চে স্কোয়াডে জায়গা পাওয়াই সব নয়। একাদশে সুযোগ পেতে ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হয়। দিল্লির মাঠে অবশেষে সেই সুযোগ এসেছে বেথেলের। তাঁর সফরটা বলা যেতে পারে বার্বাডোজ টু বেঙ্গালুরু, ভায়া ইংল্যান্ড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে জন্ম। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে। অনেকটা জোফ্রা আর্চারের মতোই। ২০০৩ সালে বার্বাডোজে এক ক্রীড়াপ্রেমী পরিবারে জন্ম। দাদু আর্থার বেথেল বার্বাডোজের হয়ে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট খেলেছিলেন। ছেলেবেলাতেই বেথেলের মধ্যে ক্রিকেটের প্রতিভা প্রমাণিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেটে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার জেতেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ইংল্য়ান্ডে পাড়ি। তারপর নিজের খেলার ধার বাড়াতে থাকেন।

ওয়ার উইক শায়ারের যুব দলে যোগ দেন। ২০২১ সালে ১৭ বছর বয়সে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অভিষেক হয়। বাইশ গজে খুঁটি শক্ত হতে থাকে। সে বছরই লিস্ট-এ ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কিংবদন্তি ইয়ান বেল ‘সেরা ১৭ বছর বয়সী’ বলেন বেথেলকে। ২০২২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন। ধাপে ধাপে উঠে আসা শুরু হয় সেখান থেকেই।

পরবর্তী দু-বছর ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। ২০২৪ সাল তাঁর কাছে যুগান্তকারী মরসুম হিসেবে প্রমাণিত হয়। কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ার এবং ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে বার্মিংহ্যাম ফিনিক্সের হয়ে দুর্ধর্ষ পারফর্ম্যান্স করেন। যার সৌজন্যে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে ডাক পান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। সেই ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও ধীরে ধীরে ভরসা দেন। ইংল্যান্ডের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলার সুযোগ হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন রেনেগাডস, দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি লিগে পার্ল রয়্যালস এবং এবার আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ছাপ ফেলছেন। ভারত সফর এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ইংল্যান্ড স্কোয়াডে ছিলেন বেথেল। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্টে খেলা হয়নি। ভারত সফরেই চোট, যার জেরে ছিটকে যান।

আরসিবি জার্সিতে নেটেই কাটছিল। দিল্লির মাঠে চোটের কারণে খেলতে পারেননি ফিল সল্ট। পরিবর্তে আইপিএল অভিষেক হয় জেকব বেথেলের। বিরাট কোহলির সঙ্গে ওপেনিংয়ে! এ যেন তাঁর কাছে রূপকথার মতো। শুরুটা অবশ্য সুখের হয়নি। আরসিবির মতো টিম। যেখানে ক্রিস গেইল, এবিডি, দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিরা খেলেছেন। বিরাট কোহলি খেলছেন। সেই দলের হয়ে ডেবিউ যে সহজ হবে না, সেটাই স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও প্রথম ম্য়াচে ২০০-র স্ট্রাইক রেটে ৬ বলে ১২ রান।

স্কোরটা সামান্য হতে পারে। বলা যায়, একটা ঝলক কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছেন জেকব। আরও সুযোগ পেলে, নজর কাড়বেন, এই প্রত্যাশা রাখাই যায়। আইপিএল যে প্রত্যেকের কাছেই নায়ক হয়ে ওঠার মঞ্চ। সুযোগটা কাজে লাগানো জরুরি।