
কয়েক মাস আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। যদিও সেটি ছিল ওয়ান ডে ফর্ম্যাটের টুর্নামেন্ট। টি-টোয়েন্টিতে শেষ সাক্ষাৎ গত বিশ্বকাপে। নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানকে দুরমুশ করেছিল ভারত। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই ছিটকে দিয়েছিল। সেই টিমে বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাডেজার মতো সুপারস্টাররা ছিলেন। তেমনই পাকিস্তান টিমে ছিলেন বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান। ভারতের তিন তারকা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়েছেন। পাকিস্তানের দু-জন স্কোয়াডেই নেই। এ বার দুই দেশেরই কার্যত ‘নতুন’ দল। ফ্লেভার অবশ্য পুরনোই।
এশিয়া কাপে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছে ভারত। আরব আমির শাহিকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে। বল হাতে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন কুলদীপ যাদব, শিবম দুবে। জসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে নতুন করে বলার নেই। তবে গত ম্যাচে বড় প্রাপ্তি শিবম দুবের বোলিংই। নিয়মিত বোলিং করতে দেখা যায় না এখন আর। গত ম্যাচে মাত্র এক স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে বুমরাকে খেলানো হয়েছিল। পেস আক্রমণে তাঁর সঙ্গী ছিলেন দুই অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম দুবে। স্পিন-ভারী একাদশ গড়েছিলেন গম্ভীর-স্কাইরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই একাদশ ধরে রাখার সম্ভাবনা।
ভারতীয় দলে যেমন একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার পাকিস্তানেরও কার্যত তাই। বাবর আজম, রিজওয়ানের মতো দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বাইরে রেখেই দল গড়া হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয় হলেও দ্রুত সামলে নিয়েছে পাকিস্তান। তাদের ব্যাটিং নিয়ে সামান্য চিন্তা থাকলেও বোলিং দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে স্পিন বোলিং। ভারতীয় ব্যাটিংকে কড়া চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ। ভারতীয় দল অবশ্য আত্মবিশ্বাসে অনেক অনেক এগিয়ে থাকবে। প্রথম ম্যাচে অবশ্য ভারতীয় ব্যাটিং সেই অর্থে পরীক্ষার সামনে পড়েইনি। দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমন গিলই কার্যত দলকে জয়ের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেন।
সুপার সান ডে-তে দুবাই ভারত-পাক ম্যাচে ব্যক্তিগত কিছু দ্বৈরথও দেখা যেতে পারে। তার মধ্যে প্রথমেই অবশ্য শুভমন গিল বনাম শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাঁ হাতি পেসারের বিরুদ্ধে এতদিন বিরাট কোহলির দ্বৈরথ আকর্ষণ হয়ে দাঁড়াত। কিং কোহলির পর বাড়তি নজর ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স শুভমন গিলের উপর।