
কলকাতা: ক্রিকেট কিংবা যে কোনও খেলা মনোরঞ্জনের একটা মাধ্যম। তবে এর মাধ্যমে সকলকে একত্রিত করা সম্ভব। খেলার মঞ্চ থেকে নানা ইতিবাচক বার্তাও দেওয়া যায়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও এমনটা করা হয়। আইপিএলে যেমন গ্রিন ডটবল চালু হয়েছে। ডট বলের নিরিখে গাছ লাগানো হবে। বোর্ড যেমন নানা উদ্যোগ নেয়, তেমনই নানা টিমও। প্রতি মরসুমেই আইপিএলে এমন অনেক ম্যাচ দেখে থাকি যেখানে কিছু দল চিরাচরিত জার্সি ছেড়ে অন্য রঙের জার্সি পরে মাঠে নামে। কোনও বিশেষ ম্যাচে, বার্তা দিতেই এমনটা করা হয়ে থাকে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে গুজরাট টাইটান্সও এমনটা করতে চলেছে। এর বিশেষ কারণও রয়েছে।
আইপিএলের মঞ্চে ২০২২ সালে প্রবেশ গুজরাট টাইটান্সের। মরসুমে একটি ম্যাচে ল্যাভেন্ডার রঙের জার্সি পরে মাঠে নামেন টাইটান্স ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষ বার্তা। লখনউ ম্যাচে জার্সি বদল নিয়ে গুজরাট ম্যানেজমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, যে ক্যান্সার সচেতনতা এবং এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিতেই এই রঙের জার্সি পরে মাঠে নামে।
গুজরাট টাইটান্সের ক্যাপ্টেন শুভমন গিল বলেছেন, “একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমাদের খেলার মধ্যে দিয়ে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করি। তাই আমরা ল্যাভেন্ডার রঙের জার্সি পরে একটি নির্দিষ্ট ম্যাচে মাঠে নামি। ক্যান্সার যোদ্ধাদের সাহস যোগানোর জন্য।” গিল আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি এই সচেতনতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে পারব।”
শুধু টাইটান্সের ক্রিকেটাররাই নন, সমর্থকরাও যাতে এই উদ্যোগে পাশে থাকতে পারেন, দর্শকদের মধ্যে তিরিশ হাজার ল্যাভেন্ডার রঙের পতাকা এবং দশ হাজার জার্সিও বিতরণ করা হবে। সমাজের জন্য এরকম একাধিক ভালো উদ্যোগ নিয়েছে আইপিলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। যেমন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু প্রতি মরসুমেই একটি ম্যাচে সবুজ রঙের জার্সি পরে খেলে। এর মাধ্যমে পরিবেশরক্ষার বার্তা দেয় তারা। তেমনই রাজস্থান রয়্যালস পিঙ্ক প্রমিস ম্যাচে পুরো গোলাপি জার্সিতে নামে। নারীদের সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ।