AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Wriddhiman Saha: ‘আমি বোরিং’, রোমির ইচ্ছেপূরণ করতে না পারার আক্ষেপ ঋদ্ধিমান সাহার!

ক্রিকেট ছাড়লেও প্রশাসনিক পদ বা রাজনৈতিক দলে আসার ঋদ্ধির কোনও ইচ্ছে নেই। বরং মাঠেই থাকতে চান পাপালি। কেকেআরে সহকারী কোচের প্রস্তাব এলেও আপাতত তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। ধাপে ধাপে নিজের কোচিং কেরিয়ারের উন্নতি চান ঋদ্ধি।

Wriddhiman Saha: 'আমি বোরিং', রোমির ইচ্ছেপূরণ করতে না পারার আক্ষেপ ঋদ্ধিমান সাহার!
কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে প্রেস মিটে ঋদ্ধিমান সাহা
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2025 | 7:07 PM
Share

কলকাতা: সপ্তাহ দুয়েক আগে ক্রিকেট কেরিয়ারে ইতি টেনেছেন সকলের প্রিয় পাপালি। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে এ বার প্রেস মিট করলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের জানা অজানা একঝাঁক প্রশ্নের উত্তর দিলেন ভারতের প্রাক্তন কিপার। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী রোমির এক ইচ্ছেপূরণ করতে পারেননি তিনি। তার জন্য আক্ষেপ রয়েছে পাপালির।

দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ৯টি ওডিআইতে খেলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু তাঁর ভারতের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি। এই আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে তাঁর। ঋদ্ধি বলেন, “রোমির ইচ্ছে ছিল বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাই।” কিন্তু তিনি ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাননি। ফলে স্ত্রীর ইচ্ছেপূরণ না করতে পারার একটা আক্ষেপও রয়ে গিয়েছে ঋদ্ধির।

সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেখানে ভারতীয় তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাকে পাবে না টিম ইন্ডিয়া। এই প্রসঙ্গে ঋদ্ধিমান বলেন, “১০০ শতাংশ শক্তি নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাচ্ছে না ভারত। বুমরার না থাকাটা ফ্যাক্টর। তবে ট্রফি জিতলে ভালো লাগবে।” রাহুল না ঋষভ? কোন উইকেটকিপার-ব্যাটারকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে রাখছেন ঋদ্ধি? তিনি বলেন, “আমি ঋষভকে ভালো করে চিনি। তাই চাইব ঋষভ খেলুক। তবে এটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।”

মহেন্দ্র সিং ধোনি থেকে শুরু করে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের মতো একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটারের বায়োপিক হয়েছে। ঋদ্ধিরও কি বায়োপিক হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বায়োপিকের প্রস্তাব আসেনি। আমাকে নিয়ে বায়োপিক কেউ করবে না। কারণ আমি বোরিং ক্যারেকটার।” যদি পাপালি বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়তে পারতেন, কে বলতে পারে, তা হলে হয়তো তাঁর বায়োপিকও হয়তো তৈরি হত।

ক্রিকেট ছাড়লেও প্রশাসনিক পদ বা রাজনৈতিক দলে আসার ঋদ্ধির কোনও ইচ্ছে নেই। বরং মাঠেই থাকতে চান পাপালি। কেকেআরে সহকারী কোচের প্রস্তাব এলেও আপাতত তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। ধাপে ধাপে নিজের কোচিং কেরিয়ারের উন্নতি চান পাপালি। তিনি বলেন, “বাংলা ক্রিকেট টিমের কোচ হওয়ার এখনও প্রস্তাব আসেনি। ২-৩ মাসের মধ্যে ছবিটা হয়তো পরিষ্কার হবে। তবে আমার কাছে প্রস্তাব এলে অবশ্যই আমি তৈরি। ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারব। রঞ্জি জয়ের আক্ষেপ মেটাতে চাই।”