
লড়াইটা সহজ ছিল না। ছেলে থেকে মেয়ে হওয়ার প্রক্রিয়াও। কথা হচ্ছে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় বাঙ্গারের মেয়ে অনয়ার। ছেলে ছিলেন। তবে মনটা মেয়ের। দীর্ঘ ১০ মাসের প্রক্রিয়া শেষে আরিয়ান থেকে অনয়া হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। কিন্তু সমাজের বিদ্রুপ, কটূক্তি থামেনি। প্রতি পদেই নানা কথা শুনতে হয়েছে। তবে লড়াইতে হাতে গোনা কয়েকজনকে পাশেও পেয়েছেন। যাঁরা আগেও বন্ধু ছিলেন, সেই বন্ধুত্বটা রয়ে গিয়েছে আগের মতোই। এই তালিকায় যেমন সরফরাজ খান, মুশির খান রয়েছেন তেমনই যশস্বী জয়সওয়াল। ভারতীয় দলের তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালকে খুব ভালো বন্ধু হিসেবেই জানিয়েছেন অনয়া বাঙ্গার। কিন্তু শুভমন গিল?
বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেটের কিং। তেমনই ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স বলা হয় শুভমন গিলকে। ভারতের পরবর্তী ক্যাপ্টেনও মনে করা হচ্ছে শুভমন গিলকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁকে রোহিতের ডেপুটি করা হয়েছিল। তেমনই ভারতের টি-টোয়েন্টি টিমকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গুজরাট টাইটান্সের ক্যাপ্টেন। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম আলোচ্য চরিত্র। গত কয়েক বছর ধরেই সচিনকন্যা সারা তেন্ডুলকরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল। তেমনই বলিউড তারকা সারা আলি খানকে নিয়েও। কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে শুভমন পরিষ্কার করে দিয়েছেন, কোনও সারার সঙ্গেই সম্পর্কে নেই তিনি। শুভমনের সঙ্গে অনয়ার সম্পর্ক কেমন? এ বার তা নিয়েই মুখ খুলেছেন অনয়া।
একটি সাক্ষাৎকারে যশস্বী এবং শুভমন দু-জনের সম্পর্কেই মনের কথা বলেছেন অনয়া। ফিল্মিজ্ঞানে একটি সাক্ষাৎকারে অনয়া জানিয়েছেন, ভারতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্ব। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে যশস্বীর সঙ্গে খেলেছেনও। সাক্ষাৎকারে শুভমন গিল প্রসঙ্গ আসতেই অবশ্য বন্ধুর তালিকায় রাখেননি! তা হলে কি শুভমন গিলকে বন্ধু মনে করেন না অনয়া? একটি পোস্টে হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেছিলেন। যেখানে সরফরাজ, যশস্বীদের সঙ্গে বন্ধুর হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলেও শুভমনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ক্রিকেটার ব্যবহার করেছেন।