Mohun Bagan-East Bengal: এত্ত পুলিশ, তাও ডার্বি হল না… ক্রাচ নিয়েই প্রতিবাদে ফুটবলপ্রেমী

RG Kar Case Protest and Durand Derby Cancel Protest: কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকরা আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার দোষীর শাস্তি চেয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে যোগ দিয়েছেন। সেখানে লাঠিচার্জ করেছেন পুলিশ। কিন্তু প্রতিবাদীদের থামানো যাচ্ছে না। ক্রাচ নিয়েও এক সমর্থক সেখানে এসেছেন।

Mohun Bagan-East Bengal: এত্ত পুলিশ, তাও ডার্বি হল না... ক্রাচ নিয়েই প্রতিবাদে ফুটবলপ্রেমী
Mohun Bagan-East Bengal: এত্ত পুলিশ, তাও ডার্বি হল না... ক্রাচ নিয়েই প্রতিবাদে সামিল সমর্থক
Follow Us:
| Updated on: Aug 18, 2024 | 7:32 PM

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা: তিলোত্তমার জন্য সুবিচার চেয়ে জুটল লাঠি… যুবভারতীর সামনে তিন প্রধানের সমর্থকরা রবি-বিকেলে জড়ো হয়েছিলেন। সময় যত এগোতে থাকে, ফুটবলপ্রেমীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan) ও মহামেডানের সমর্থকরা আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার দোষীর শাস্তি চেয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে যোগ দিয়েছেন। সেখানে লাঠিচার্জ করেছেন পুলিশরা। কিন্তু প্রতিবাদীদের থামানো যাচ্ছে না। ক্রাচ নিয়েও এক সমর্থককে সেখানে আসতে দেখা যায়।

ক্রাচ হাতে ওই ফুটবলপ্রেমী কার্যত হাঁপাতে হাঁপাতে TV9Bangla-কে বলতে থাকেন, ‘এত পুলিশ ডার্বি ম্যাচটায় যথেষ্ট নিরাপত্তা দিতেই পারতেন। আজ ম্যাচটা হওয়া উচিত ছিল। একটা খারাপ বার্তা ছড়াল। আমরা জাস্টিস চেয়ে আন্দোলন করব বলেই, ডার্বিটা হতে দিল না। কিন্তু আমরা জাস্টিস চাওয়া থামাচ্ছি না।’

বিচার চাইলে, জুটছে মার… এ কেমন অবস্থা? প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকরা। তিলোত্তমার হয়ে বিচার চেয়ে আটক প্রতিবাদীরা। টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে একসঙ্গে তোলা হয় ইস্ট-মোহন সমর্থকদের। পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ করা হয়। প্রতিবাদীদের পুলিশ ক্রমশ সরানোর চেষ্টা করলে স্লোগান উঠছে, ‘লাঠি চার্জ করবি কর, জাস্টিস ফর আরজি কর।’ স্থানীয় বাসিন্দারাও এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের মুখে স্লোগান, ‘ডার্বি কাড়বি কেড়ে নে, মেয়েটাকে ফিরিয়ে দে।’

‘তুমি আমি একই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’, চিংড়ি-ইলিশ এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর, ‘মাচা-ঘটি একই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’… এই স্লোগানগুলোই বলে দিচ্ছে সকলে ঠিক কতটা প্রতিবাদে মুখর। এই সকল স্লোগানের পাশাপাশি একটানা শোনা যায় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানও।

পুলিশি তৎপরতা বেড়েছে। বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড় থেকে জমায়েত ব্যাপক আকার ধারণ করে। ফুটবল প্রেমীরা বার বার বলছেন, ‘যে পরিমাণ পুলিশ এখানে দেখা যাচ্ছে, তাতে তো ডার্বি আয়োজন করা হয়ে যেত। এত পুলিশ ম্যাচটা করাতে পারল না। তা হলে আমাদের এ ভাবে প্রতিবাদ করতে হত না।’