DHFC: কলকাতা লিগের সূচি নিয়ে ক্ষোভ, আইএফএ-র বিরুদ্ধে আইনি পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব

Calcutta League: ইস্টবেঙ্গল-ডায়মন্ডহারবার ম্যাচ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। এবার বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব।

DHFC: কলকাতা লিগের সূচি নিয়ে ক্ষোভ, আইএফএ-র বিরুদ্ধে আইনি পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব
DHFC: কলকাতা লিগের সূচি নিয়ে ক্ষোভ, আইএফএ-র বিরুদ্ধে আইনি পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাবImage Credit source: Facebook

| Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Feb 13, 2025 | 9:20 PM

কলকাতা: কলকাতা লিগের সূচি নিয়ে ক্ষোভ। আইএফএ-র (IFA) বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ক্লাব ডায়মন্ডহারবার এফসি। আজ লিগ নির্ধারণী ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল বনাম ডায়মন্ডহারবার ম্যাচ থাঅলেও, ইস্টবেঙ্গলকে ওয়াকওভার দেয় ডায়মন্ডহারবার। আরএফডিএল এবং আই লিগ টু-র ম্যাচ খেলতে হচ্ছে ডায়মন্ডহারবারকে।

বৃহস্পতিবারের ম্যাচ খেলতে অসুবিধা ছিল ডায়মন্ডহারবারের। সেই মর্মে চিঠি দিয়ে আইএফএ-কে জানায় ডায়মন্ডহারবার। প্রসঙ্গত ডায়মন্ডহারবারের ১৪ তারিখের আরএফডিএলের ম্যাচ পিছিয়ে দেয় আইএফএ। কিন্তু ডায়মন্ডহারবারের অভিযোগ ছিল আইএফএ সেই সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে জানানোয় তারা কলকাতা লিগের নির্ধারণী ম্যাচে দল নামাতে পারবে না। ইস্টবেঙ্গল-ডায়মন্ডহারবার ম্যাচ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। এবার বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব।

ডায়মন্ডহারবারের সহ সভাপতি আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে টিভি নাইন বাংলাকে বলেছেন,  “ইস্টবেঙ্গল ওদের জায়গায় রয়েছে। আমাদের আইএফএর সঙ্গে সমস্যা। ওদের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েই আসল সমস্যা। আরও কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আইনগত সিদ্ধান্ত নেব।”

এই বিষয়ে কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিরক্ত? এই প্রশ্নের উত্তরে আকাশ বলেন, “উনি নিজের কাজে ব্যস্ত। এই বিষয়গুলো তাঁকে জানানো আছে। আমরা আলোচনা করব ওনার সঙ্গেও। আমাকে তো এই ক্লাবের দায়িত্ব দিয়েছেন উনি, তাই ওনার সঙ্গেও আমরা আলোচনা করব। তারপর আইনি পথে হাঁটব। এখানে বিরক্ত হওয়ার ব্যাপার তো নেই।”

আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তকে যখন টিভি নাইন বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডায়মন্ডহারবার আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবছে, তা শুনে তিনি বলেন, “আইনি পথ তো খোলা রয়েছে। যদি কারও মনে হয় তাদের জন্য যেটা ঠিক ও যোগ্য, তা হয়নি তা হলে তারা কোর্টে যেতে পারে। ফলে ওরা যদি আইনের পথে যেতে চায়, তা হলে যেতেই পারে। আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করেছিলাম যাতে ম্যাচ আয়োজনে কোনও সমস্যা না হয়। ফলে নতুন করে বোঝানোর কিছু নেই। আমরা প্রতিটি ক্লাবের স্বার্থ দেখার চেষ্টা করি। সহযোগিতা করি। ওরা যখন জানিয়েছিল যে, ওদের অন্য টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে ওরা বলেছিল, পরপর ম্যাচের কারণে অসুবিধা হচ্ছে। সেখানেও আইএফডিএলের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচটা সরিয়েছিলাম। এরপর ম্যাচটা না খেলার কোনও কারণ নেই মনে করি। এ বার ওরা কেন খেলল না, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।”