Mohun Bagan: রয় কৃষ্ণাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও হার, গ্রুপেই বিদায়ের পথে মোহনবাগান
AFC CUP, Mohun Bagan Super Giant-Odisha FC: মোহনবাগানের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, মাঠে একজনই খেলছেন। হুগো বোমাস। এক গোলে এগিয়ে থেকেও ১-৩ পিছিয়ে পড়া। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। হুগো মরিয়া চেষ্টা করলেন। বাকিরা সঙ্গ দিলেন। প্রচুর সুযোগও তৈরি হল। গোল যোগ হল একটিই। উল্টে ইনজুরি টাইমে জোড়া গোল খেল মোহনবাগান। সুপার সাব অনিকেত যাদবের গোলে ভূমিকা নিলেন রয় কৃষ্ণাও। ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল ইসাকের।
কলকাতা: চোটের জন্য় একাধিক প্লেয়ার নেই। যদিও তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের নিয়েই ভালো পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ৪-০ ব্যবধানে জয়ে সফর শুরু করেছিল মোহনবাগান। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। চোটের কারণে মাঠের বাইরে থেকে দলের বিপর্যয় দেখতে হল পেত্রাতোসকে। শুরুটা দেখে অবশ্য এমন কোনও আশঙ্কা করা যায়নি। এগিয়ে থেকেও মোহনবাগানের হার ২-৫ ব্যবধানে! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচের ২৭ সেকেন্ডেই পেনাল্টির আবেদন মোহনবাগানের। রেফারি যদিও আগ্রহী ছিলেনে না। বক্সের মধ্যে আটকানো হয়েছিল জেসন কামিংসকে। ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর দৌড়, এরপরই বল এগিয়ে দেন আশিস রাইয়ের দিকে। তাঁর কাছ থেকে বল পান হুগো বোমাস। বক্সের কর্নার থেকে জোরালো শটে গোল বোমাসের। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারি সতেজ হয়ে ওঠে এই গোলেই। সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মোহনবাগানকে চাপে ফেলেন তাদের প্রাক্তনী রয় কৃষ্ণা। এ মরসুমে বেঙ্গালুরু এফসি থেকে ওড়িশায় সই করেছেন রয় কৃষ্ণা। দীর্ঘ সময় মোহনবাগানে খেলেছেন। তাঁর গোলেই সমতা ফেরায় ওড়িশা। কিছুক্ষণের মধ্য়েই ওড়িশাকে লিড দেন মরিসিও। এই গোলেও ভূমিকা রাখেন রয় কৃষ্ণা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে মরিসিওর পাস ধরে দৌড় ওড়িশার জাপানি মিডফিল্ডারের। মোহনবাগান ডিফেন্সকে পিছনে ফেলে গোল করতে সমস্যায় পড়েনি গোদারা। ৪০ মিনিটের মধ্যেই ১-৩ পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। পিছিয়ে পড়ে মেজাজ হারান আর্মান্দো সাদিকু। রেফারির সঙ্গে তর্কে হলুদ কার্ড দেখেন। ৫৬ মিনিটে সাদিকু ও গ্ল্যান মার্টিন্সের পরিবর্তে কিয়ান নাসিরি ও অনিরুদ্ধ থাপাকে নামানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই লিস্টন কোলাসোর ফ্রি-কিক ক্রসবারে লাগে। অবশেষে ৬৩ মিনিটে যুবভারতীতে আরও একবার আনন্দ করার সুযোগ পান ঘরের মাঠের সমর্থকরা। হুগো বোমাসের সেন্টারে অনবদ্য হেডে গোল পরিবর্ত হিসেবে নামা কিয়ান নাসিরির।
মোহনবাগানের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, মাঠে একজনই খেলছেন। হুগো বোমাস। এক গোলে এগিয়ে থেকেও ১-৩ পিছিয়ে পড়া। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। হুগো মরিয়া চেষ্টা করলেন। বাকিরা সঙ্গ দিলেন। প্রচুর সুযোগও তৈরি হল। গোল যোগ হল একটিই। উল্টে ইনজুরি টাইমে জোড়া গোল খেল মোহনবাগান। সুপার সাব অনিকেত যাদবের গোলে ভূমিকা নিলেন রয় কৃষ্ণাও। ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল ইসাকের। ২-৫ ব্যবধানে হার। এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বেই বিদায়ের পথে মোহনবাগান।