AIFF: ফেডারেশন সচিবের বিরুদ্ধে ২ মহিলাকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রঞ্জিত বাজাজের

রঞ্জিতের টুইট, 'ফেডারেশনের দুই মহিলা কর্মী যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। প্রথম জন অভিযোগ করেও সুবিচার পাননি। দ্বিতীয় জন কর্নেল মেহতার কাছে দরবার করেও ন্যায়বিচার পাননি। ঘটনা হল, কর্নেল মেহতাই ছিলেন যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা কমিটির চেয়ারম্যান। প্রফুল প্যাটেলের মতো লোক ওই দুটো ঘটনা চেপে দিয়েছিলেন।'

AIFF: ফেডারেশন সচিবের বিরুদ্ধে ২ মহিলাকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রঞ্জিত বাজাজের
কুশল দাস। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2022 | 7:10 PM

কলকাতা: ভারতীয় ফুটবলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ( (AIFF) এক অন্যতম শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন মিনার্ভা পঞ্জাবের প্রাক্তন মালিক। সোমবার সকালে টুইট করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। এমন বিতর্ক উঠেছে যে, এআইএফএফ ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছে। এতেই শেষ নয়, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধেও উঠছে অভিযোগ। তিনি ওই সিনিয়র কর্তার কাণ্ড কারখানা জানা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি। উল্টে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এমন ইস্যু, ভারতীয় ফুটবলে খুব একটা শোনা যায়নি। নির্বাচন ঘিরে এমনিতেই ডামাডোল চলছে এআইএফএফে। তারই নির্যাস হিসেবে এই বিতর্ক বেরিয়ে এল কিনা, কেউ কেউ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে ভুল করছেন না।

কার বিরুদ্ধে অভিযোগ? ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস (Kushal Das) বিদ্ধ রঞ্জিত বাজাজের তিরে। যে বিতর্ক থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারছেন না প্রফুল প্যাটেলও। ঘটনা আসলে কী? রঞ্জিতের দাবি, ফেডারেশনেরই দুই মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন কুশল। কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। #METOO আন্দোলন এক সময় চরম আকার নিয়েছিল ভারতেও। অনেকেই এই অভিযোগে অভিযুক্তও হয়েছিলেন। তাঁদের নিয়ে তোলপাড়ও পড়েছিল। কুশলের এই ঘটনা কখন এবং কবেকার, তা অবশ্য রঞ্জিত খোলসা করেননি।

রঞ্জিত হঠাৎ বিস্ফোরক ভূমিকায় নামলেন কেন? এর বীজ নাকি পোঁতা হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। রঞ্জিতের কথায়, ‘প্রো লাইসেন্সের নামে ফেডারেশন কোচেদের নানা ভাবে শুষেছে। কোচেদের যাতে সুবিধে হয়, তার জন্য বিনা পয়সায় প্রো লাইসেন্স করাতে চেয়েছিলাম মিনার্ভায়। কিন্তু তা হতে দেয়নি কুশল দাসের মতো লোকেরা।’

এরপর যা বলেছেন রঞ্জিত, তা নিয়েই শোরগোল পড়েছে। রঞ্জিতের টুইট, ‘ফেডারেশনের দুই মহিলা কর্মী যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। প্রথম জন অভিযোগ করেও সুবিচার পাননি। দ্বিতীয় জন কর্নেল মেহতার কাছে দরবার করেও ন্যায়বিচার পাননি। ঘটনা হল, কর্নেল মেহতাই ছিলেন যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা কমিটির চেয়ারম্যান। প্রফুল প্যাটেলের মতো লোক ওই দুটো ঘটনা চেপে দিয়েছিলেন। এই রকম একটা লোক ফেডারেশনের সচিব থাকেন, সেটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের। কুশলের পদত্যাগ দাবি করছি, ফেডারেশন কলঙ্কমুক্ত হোক।’

আইএসএল ফাইনালের আগের দিন কুশলকে নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ফেডারেশনের এজিএমে তিনি নাকি মদ্যপ অবস্থায় ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়েছিলেন। যে অভিযোগের সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়নি। তার মধ্যেই আবার কুশলকে ঘিরে নতুন অভিযোগ এআইএফএফকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে। রঞ্জিত এত কথা বললেও, ফেডারেশনের তরফ থেকে কেউই মুখ খুলতে নারাজ। সচিব কুশল দাসকে ফোন করা হলেও, তিনি জবাব দেননি।

আরও পড়ুন: Racism Allegation: তথ্য প্রমাণের অভাবে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ থেকে ছাড় পেলেন প্রাক্তন প্রোটিয়া অধিনায়ক