ARG vs KSA FIFA WC Match Preview: লুসেইলের সবুজ গালিচায় ফুল ফোটাতে প্রস্তুত মেসির আর্জেন্টিনা
Argentina vs Saudi Arabia FIFA world Cup 2022: স্বপ্নের কথা তুলে ধরলেন। মেসির কথায়, 'এটা জেনে আপ্লুত, অনেকেই আমার স্বপ্নপূরণ হোক, এমনটাই চাইছেন। নিশ্চিতভাবেই এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমার দলের কাছে এটাই কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণের শেষ সুযোগ। আমরা ধারাবাহিক ভাবে বেশ কিছু ম্যাচ জিতে এসেছি। তাই কারও চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমরাও খেলাটাকে উপভোগ করব।'
কলকাতা : কোন বিশেষণ মানান সই তাঁর সঙ্গে? ফুটবল সম্রাট পেলে, ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা, মেসির ক্ষেত্রে! সব বিশেষণের উর্ধ্বে রাখা যায়? ম্যাজিশিয়ান বলাই যায়। কোনও ইন্দ্রজাল, আবরা কা ডাবরা নয়। সরল হাসি, মুগ্ধকর ফুটবল, বশ করে রাখে ফুটবল প্রেমীদের। দেশ, বিদেশ, সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমী। আর্জেন্টিনা সমর্থক যত না বেশি, লিওনেল মেসির (Lionel Messi) সমর্থক তার কয়েক গুন। কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) আজ লুসেইল স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় পা পড়তে চলেছে মেসির। আর্জেন্টিনা (Argentina) হোক বা অন্য কোনও দেশ, লিওনেল মেসির মাঠে নামার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন, এ কথা হয়তো বলা যায়! শুধুমাত্র আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলাররাই নন, অনেক কিংবদন্তিরই প্রত্যাশা, মেসির হাতেই এ বারের বিশ্বকাপ উঠুক। বিশ্বকাপ অভিযানে আজ আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। এ তো গেল বাকিদের প্রত্যাশা, চাওয়া। লিওনেল মেসি নিজে কী চাইছেন? আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচের আগে বিস্তারিত তুলে ধরল TV9Bangla।
ভারতের সঙ্গে আর্জেন্টিনার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আর মেসির সঙ্গে? কেউই হয়তো ভোলেননি, কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই অধিনায়ক মেসির অভিষেক হয়েছিল। সেই মুহূর্ত কি ভোলা যায়? ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলা হলে সমর্থকদের মধ্যে ভাগা ভাগি থাকবে। আর্জেন্টিনার বাকি ম্যাচগুলিতে শুধুমাত্র মেসির জন্য বাড়তি সমর্থন থাকতেই পারে। এটিই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে আর তাঁর পা পড়বে না। মেসি নিজেও সে কথা ঘোষণা করেছেন। বিশ্বকাপ অভিযানের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তাই তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, ‘স্বপ্নপূরণের জন্য এটাই আমার শেষ সুযোগ’। সাত সুর না মিললে যেমন শ্রুতিমধুর সঙ্গীত তৈরি হবে না, তেমনই ফুটবলের মতো টিম গেমে, মেসির একার পক্ষে হয়তো কয়েকটা ম্যাচ জেতানো সম্ভব। তবে ট্রফি জিততে সতীর্থদের যোগ্য সঙ্গ চাই। প্রথম ম্যাচের জন্য কতটা তৈরি আর্জেন্টিনা?
পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের মঞ্চে পরিসংখ্য়ান নয়, পারফরম্যান্সই পার্থক্য গড়ে দেবে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই চোট আঘাতের বেশ কয়েকটি ঘটনা রয়েছে নীল-সাদা শিবিরে। স্কোয়াড ঘোষণার আগেই ছিঁটকে যান জিওভানি লো সেলসো। স্কোয়াড ঘোষণার পরও জোড়া ধাক্কা খেয়েছে আর্জেন্টিনা। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, মাঝে দু-দিন সতীর্থদের সঙ্গে থাকলেও একাকী অনুশীলন করছিলেন মেসি। আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, খোদ অধিনায়কেরই চোট নেই তো! সাংবাদিক সম্মেলনে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে ভরসা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘শারীরীকভাবে আমি একদম ঠিক রয়েছি। আমার ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আমার একাকী অনুশীলন নিয়ে অনেক কিছুই শুনেছি। আমার কাছে আলাদা অনুশীলন ব্যতিক্রম নয়। আগেও এমন করেছি।’ এরপরই স্বপ্নের কথা তুলে ধরলেন। মেসির কথায়, ‘এটা জেনে আপ্লুত, অনেকেই আমার স্বপ্নপূরণ হোক, এমনটাই চাইছেন। নিশ্চিতভাবেই এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমার দলের কাছে এটাই কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণের শেষ সুযোগ। আমরা ধারাবাহিক ভাবে বেশ কিছু ম্যাচ জিতে এসেছি। তাই কারও চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমরাও খেলাটাকে উপভোগ করব।’
কাতারে প্রবেশের আগে আবু ধাবিতে প্রস্তুতি সেরেছে আর্জেন্টিনা। আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ৫-০ জিতেছে আর্জেন্টিনা। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া জোড়া গোল করেছেন। একটি করে গোল এবং অ্যাসিস্ট রয়েছে মেসির। তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ সৌদি আরবও ছন্দে রয়েছে। হার্ভ রেনার্ডের প্রশিক্ষণাধীন সৌদি আরব বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে এশিয়ার সেরা দল হিসেবেই বিশ্বকাপে এসেছে। সাতটি জয়, দুটি ড্র এবং একটি মাত্র হার।
এশিয়া সেরার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশ হতে পারে এরকম-এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, নহেল মোলিনা, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, রড্রিগো ডি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার/আলেজান্দ্রো গোমেজ, লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্টিনেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
অন্য দিকে, সৌদি আরবের প্রথম একাদশ হতে পারে-মহম্মদ আল ওয়েস, সাদ আব্দুল হামিদ, আব্দুলেলা আল-আমরি, আলি আল-বুলাহি, ইয়াসির আল-শাহরানি, মহম্মদ কানো, আব্দুলেলা আল মালকি, ফিরাস আল-ব্রিকা, সালেম আল-দাওয়াসারি, সলমন আল-ফারাজ, সালেহ আল-শেহরি।