EURO 2020 : ইউক্রেনকে দুরমুশ করে ১৫ বছর পর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড
প্রথমার্ধ ১-০ থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড যেন আরও ভয়ঙ্কর।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল ম্যাগুয়েরের। শ'-য়ের দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল ম্যাগুয়েরের। যেটুকু ফেরার আশা ছিল,সেটাও কার্যত শেষ হয়ে গেল ইউক্রেনের।
ইংল্যান্ড – ৪ ( হ্যারি কেন ৪’, ৫০’, ম্যাগুয়ের ৪৬’, হেন্ডারসন ৬৩’)
ইউক্রেন- ০
রোমঃ কোনও দীর্ঘ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে কি প্রয়োজন? বেশিরভাগ ফুটবলবিশেষজ্ঞই বলেন, সঠিক সময়ে জ্বলে উঠতে হয় পারফরম্যান্সে। চলতি ইউরোতে(EURO 2021) ঠিক তেমনভাবেই যেন এগোচ্ছে ইংল্যান্ড(ENGLAND)। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ১ গোলে জয়। স্কটল্যান্ডর সঙ্গে ড্র। চেক প্রজাতন্ত্রে বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয়। প্রিকোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই জ্বলে উঠতে শুরু করল ইংল্যান্ড। জার্মানিকে ২-০ গোলে হারানোর পর এবার ইউক্রেনকে(UKRAINE) ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল হ্যারি কেনের(HARRY KANE) দল। সেমিফাইনালে সাউথগেটের(GARETH SOUTHGATE) দল।জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক অধিনায়ক হ্যারি কেন।
ইউক্রেন অঘটন ঘটাতে পারে আজ? এই ভাবনাটাই যেন অতীত হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের শুরুতে। ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের মাপা পাস থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডকে এরপর প্রথমার্ধ জুড়ে সামলাতে হিমশিম খেতে হল ইউক্রেনকে। কয়েকটা হাফচান্স তৈরি করলেও গোলের মুখ দেখেনি ইউক্রেন। প্রথমার্ধ ১-০ থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড যেন আরও ভয়ঙ্কর।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল ম্যাগুয়েরের। শ’-য়ের দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল ম্যাগুয়েরের। যেটুকু ফেরার আশা ছিল,সেটাও কার্যত শেষ হয়ে গেল ইউক্রেনের। তবুও লড়াইয়ে ফিরতে মরিয়া ছিল ইউক্রেন। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইটা ফের একবার শেষ করে দিলেন সেই হ্যারি কেন।স্টার্লিংয়ের পাশ থেকে শ’-য়ের দৌড়। ইউক্রেনের বক্সের ডানদিক থেকে মাপা ক্রস। ফের গোল হ্যারি কেনের। রোমে তখন সেমিফাইনালের গন্ধ পেতে শুরু করেছে ইংল্যান্ড।
ইউক্রেনের কফিনে শেষ পেরেকটা পোঁতেন হেন্ডারসন। মাউন্টের দুরন্ত কর্নার। হেডে গোল হেন্ডারসনের। ৪-০ গোলে দুরমুশ করে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড।
গত বিশ্বকাপে আশা জাাগিয়েও ব্যর্থ হয়েছিল। এবারও সাউথগেটের কোচিংয়ে এই ইংল্যান্ড দল এগিয়ে চলেছে নিজ ছন্দে। ১৯৯৬ সালের পর আবার ইউরোর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনাল ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে। তাই ফেভারিট ইংল্যান্ডই। আর সেমিফাইনাল জিতলে ফাইনালও যে ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে। ঘরের মাঠের অ্যাডভান্টেজ নিয়ে কি প্রথমবার উরো জয়ের স্বাদ পাবেন হ্যারি কেনরা? এখনই ফাইনাল নিয়ে ভাবতে নারাজ থ্রি লায়ন্স।