Lionel Messi: ‘মেসি একটা পচা ইঁদুর, বেঁটে বজ্জাত’, গোপন চ্যাট ফাঁস, তীব্র বিতর্ক!
Barcelona: লিওনেল মেসিকে নিয়ে গোপন চ্যাট ফাঁস হতেই তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে সারা বিশ্বে।
মাদ্রিদ: সেই কান্নাভেজা চোখ মনের ফ্রেমে এখনও হয়তো বাঁধিয়ে রেখেছেন তাঁর ভক্তরা। ভরা কনফারেন্স রুমে তাঁর শেষ প্রেস মিট ছুঁয়ে গিয়েছিল সারা দুনিয়াকে। যে ক্লাব জন্ম দিয়েছিল তাঁকে, সেই ক্লাব ছেড়ে চলে যাওয়ার তীব্র কষ্ট ফুটে উঠেছিল তাঁর চোখেমুখে। এ সবই প্রায় আড়াই বছর পর আবার ফিরে আসছে। কিন্তু তার পিছনে যে চরম বিতর্ক ছিল, এতদিন তা যে আগ্নেয়গিরির মতো মুখ লুকিয়েছিল, এমন বিস্ফোরণ না হলে জানাই হত না। কে এবং কোন ক্লাবের গল্প? লিওনেল মেসি (Lionel Messi) এবং বার্সেলোনা (Barcelona)। যে স্বপ্নের স্প্যানিশ ক্লাব থেকে কিংবদন্তির স্তরে উত্তরণ এলএম টেনের, কিংবদন্তির দিকে পা বাড়ানো, এই প্রজন্মের সেরা ফুটবলার হয়ে যাওয়া, চিরতরে ইতিহাসে ঢুকে পড়ে, মেসির সেই বার্সাতে থাকার সময়ই ঘটেছিল এই ঘটনা। যা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। একটা হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজ হঠাৎই প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে নতুন করে। মেসিকে ঘিরে কী ঘটনা, তুলে ধরল TV9 Bangla।
করোনা এবং ইউরোপিয়ান ক্লাবের সেলারি ক্যাপ— এই জোড়া ফলায় বার্সা ছাড়তে হয়েছিল মেসিকে। প্যারিস সাঁজাতে যোগ দিতে বাধ্য হন তিনি। ক্লাব ছাড়ার পিছনে কি অন্য কোনও কারণ ছিল আর্জেন্টেনিয়ানের? ওই হোয়্যাটসঅ্যাপ বার্তা সব খুল্লামখুল্লা করে দিয়েছে! ওই সময় বার্সার প্রেসিডেন্ট ছিলেন জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ (Josep Maria Bartomeu)। সিইও ছিলেন অস্কার গারু, কার্যকরী সদস্য ছিলেন জর্দি মোইক্স, ওলিওল তোমা, দাভিদ বালেভার। ফিন্যান্সিয়াল ডিরেক্টর ছিলেন পাঞ্চো স্কোর্দের, জেভিয়ার সব্রিনো ছিলেন ডিরেক্টর অফ স্ট্র্যাটেজি। বার্তেমেউ ও পন্তির কথোপকথনের হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজই বিতর্কের নতুন দিশা খুলে দিয়েছে। যা নিয়েই তুমুল হইচই।
গোপন চ্যাট ফাঁস হতেই তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে সারা বিশ্বে। হোয়্যাটসঅ্যাপে বার্সার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে পন্তি লিখেছেন, ‘বার্তো, ওর মতো পচা ইঁদুর, বেঁটে বজ্জাতকে সামলানোর জন্য ভালো মানুষ হলে চলবে না। ক্লাব ওকে সব কিছু দিয়েছে। সেই ওই কিনা একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। সই করা থেকে, ট্রান্সফার, চুক্তির নবীকরণ, স্পনসরশিপ যেন শুধু ওর জন্য! আমি কোনও ভাবেই এটা মেনে নিতাম না। ওরই জন্য পিন্টোকে নিতে হবে, লুইস সুয়ারেজের চুক্তি নবীকরণ করতে হবে, জর্দি আলবা কিংবা আনসু ফাতির চুক্তি বাড়াতে হবে।’
এতেই শেষ নয়। পন্তি সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন, ‘দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেল করা, ক্লাবকে অসম্মান করা তো সব কিছুর উর্ধ্বে থাকবে। যে ক্লাব ওকে তৈরি করেছে, সেই ক্লাবের সঙ্গেই কিনা ও এটা করেছে। অতিমারির সময় যখন পরিস্থিতি জটিল, বার্তো তুমি সেই বিখ্যাত মেসেজটা পেয়েছিল। ও লিখেছিল, প্রেসি, অন্যদের মাইনে কমিও। কিন্তু আমার আর সুয়ারেজের মাইনেতে হাত দিও না। ও কিন্তু মানুষকে একটা বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল।’
মেসি কি এ সব বলেছিলেন? সময় বয়ে গিয়েছে অনেকটাই। কাতারে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন মেসি। বিশ্ব ফুটবলে চিরকালীন থেকে যাবে তাঁর নাম। তাতে কি কলঙ্কের ছিটে লাগতে পারে?