AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Lionel Messi: অবশেষে হাতে কাপ, মেসির পায়ে ভাঙল একগুচ্ছ রেকর্ড

Lionel Messi World Cup record: ১৯৮৬ সালে দিয়েগো মারাদোনার নেতৃত্বে কাপ জয়ের পর ফের বিশ্বজয়ী আলবিলেস্তেরা। আর এর মধ্যেই মেসির পা-এর জাদুতে ভেঙে গেল একের পর এক রেকর্ড।

Lionel Messi: অবশেষে হাতে কাপ, মেসির পায়ে ভাঙল একগুচ্ছ রেকর্ড
বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2022 | 12:02 AM
Share

দোহা: অবশেষে লিওনেল মেসির হাতে বিশ্বকাপ। ২০০৬ থেকে বারবার বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। দেশের জার্সিতে না কি পুরো হৃদয় দিয়ে খেলেন না তিনি, এমন অভিযোগ উঠেছে। সব অভিযোগের জবাব দিলেন ‘এলএমটেন’। টাইব্রেকারে ৪-২ ফলে জিতল আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে দিয়েগো মারাদোনার নেতৃত্বে কাপ জয়ের পর, ফের বিশ্বজয়ী আলবিলেস্তেরা। আর এর মধ্যেই মেসির পা-এর জাদুতে ভেঙে গেল একের পর এক রেকর্ড।

নকআউটের প্রত্যেক পর্বে গোল

রবিবার ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করার ফলে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের নকআউটের প্রত্যেক পর্বে একটি করে গোল করার রেকর্ড গড়লেন মেসি। রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বক্সের মধ্য থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেছিলেন মেসি। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন মেসি।

গোলে সর্বোচ্চ অবদান

১৯৬৬ সালে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করার পর থেকে বিশ্বকাপে দলের হয়ে গোল করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অবদান রাখার কৃতিত্বের অধিকারী হলেন মেসি। ফাইনালের আগেই ১৯টি অবদান ছিল মেসির। ১১টি গোল নিজে করেছিলেন, ৮টি গোল করিয়েছিলেন। একই সংখ্যায় ছিলেন জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসে এবং ব্রাজিলের রোনাল্ডো নাজারিও। ফাইনালে আরও দুটি গোল করে তাঁদের দুজনকে ছাপিয়ে গেলেন মোসি। তাঁর মোট অবদানের সংখ্যা হল ২১। তবে ১৯৬৬ সালের আগের পরিসংখ্যান ধরা হলে, এই ক্ষেত্রে সবার আগে আছেন কিংবদন্তি পেলে। গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে তাঁর অবদান ২২টি।

সর্বোচ্চ ম্যাচ

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড করলেন মেসি। ২০০৬ বিশ্বকাপে মাত্র ১৮ বছর বয়সে সার্বিয়া এবং মন্টেনেগ্রোর বিরুদ্ধে গ্রুপ স্তরের ম্যাচে পরিবর্ত খেলোয়ার হিসেবে নেমেছিলেন মেসি। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল ছিল তাঁর ২৬তম বিশ্বকাপ ম্যাচ। এর আগে এই রেকর্ড ছিল কিংবদন্তি জার্মান ফুটবলার লোথার ম্যাথাউসের। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ম্যাথাউস খেলেছিলেন ২৫টি ম্যাচ।

সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়

ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচ জেতার ফলে, বিশ্বকাপে মোট ১৭টি ম্যাচ জিতলেন মেসি। প্রাক্তন জার্মান স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসেও বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচ জিতেছিলেন। ফলে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যুগ্মভাবে তাঁরাই হলেন সবথেকে বেশি ম্যাচ জয়ী খেলোয়াড়।

বিশ্বকাপে মাঠে সর্বোচ্চ সময় উপস্থিতি

ফাইনালের আগেই বিশ্বকাপে ২,১৯৪ মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি। তাঁর থেকে বেশি সময় বিশ্বকাপে মাঠে ছিলেন শুধুমাত্র ইটালির জাতীয় দলের প্রাক্তন ডিফেন্ডার পাওলো মালদিনি। তিনি খেলেছিলেন ২,২১৭ মিনিট। ফাইনালের প্রথম অর্ধে ২৪ মিনিট মাঠে কাটানোর পরই সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন মেসি।

দুটি গোল্ডেন বল 

বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়কে গোল্ডেন বল পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন মেসি। তবে, জার্মানির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় গোল খেয়ে হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। দল বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও, সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন মেসি। ২০২২ সালে অধরা বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে দুটি গোল্ডেন বল জিতলেন তনি।