কলকাতা: নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সকলেই তৈরি হচ্ছেন। আর এই সময় ডিসেম্বরের শেষের দিকে দাঁড়িয়ে বছরভর যা ঘটেছে ভারতীয় ক্রীড়াদুনিয়ায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বছর রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে। যা ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছেও বিরাট প্রাপ্তি। ক্রিকেট নিয়ে হইচই বরাবরই রয়েছে ভারতে। আর চব্বিশে ভারতীয় ফুটবলের অবস্থা কেমন? এক কথায় বলতে গেলে, ভারতীয় ফুটবলে এ বছর প্রাপ্তি শুধুই হতাশা। বছরের শুরুতেই ভারতীয় টিম হারের হ্যাটট্রিক করেছিল। বছরের শেষটা ভারতের জয় দিয়ে হল না। ড্র দিয়েই সন্তুষ্ট হতে হল মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোদের। পঁচিশে পা দেওয়ার আগে এক ঝলকে রইল ভারতীয় ফুটবলের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেবনিকেশ।
এএফসি এশিয়ান কাপে হারের হ্যাটট্রিক ভারতের – জানুয়ারি মাসে হওয়া এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রুপ-বি-তে ছিল ভারত। ৩ ম্যাচের তিনটিতেই অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখে ভারত। অস্ট্রেলিয়া ২-০ হারায় ভারতকে। উজবেকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হার টিম ইন্ডিয়ার। এরপর সিরিয়া ভারতকে ১-০ হারায়।
ইগর জমানা শেষ, মানোলো অধ্যায়ের শুরু – টানা ব্যর্থতার কারণে ইগর স্টিমাচকে ছাঁটায় করা হয়েছে। কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্প্যানিশ মানোলো মার্কোয়েজকে। তিনি একদিকে আইএসএলে এফসি গোয়ার কোচ। পাশাপাশি ভারতীয় দলেরও। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে মরিশাসের মতো দূর্বল দলের বিরুদ্ধে ড্র দিয়ে মানোলো অধ্যায় শুরু। এরপর তুলনামূলক শক্তিশালী সিরিয়ার কাছে হার। ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে ফারুক চৌধুরীর গোলে মানরক্ষা হয়েছিল। ভিয়েতনামে ড্র করেছিল টিম। সদ্য মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচেও ড্র। মানোলো অধ্যায়ে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ভারত।
ভারতীয় ফুটবলে সুনীল জমানার ইতি – আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রী। যা ভারতীয় ফুটবলে আরও অস্বস্তির হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুনীলের মতো ফুটবলার না থাকায় টিমকে ভুগতে হয়েছে। এ বছরের জুনে তিনি কুয়েতের বিরুদ্ধে ভারতের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেছেন।
মেয়েদের ফুটবলের হালহকিকত – এ বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। কাঠমান্ডুতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের অন্যতম সফল দল ভারত। সেমিফাইনালে আয়োজক নেপালের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতের মেয়েদের। সেই ম্যাচটিতে অবশ্য নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিলেন নেপালের ফুটবলাররা। গ্যালারি থেকেও উস্কানিও দেওয়া হয়েছিল। সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ঘণ্টাখানেকের বেশি বন্ধ থেকেছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ১৮০ মিনিটের ফুটবল ম্যাচ! যা এই খেলার ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেছে বলে রেকর্ড নেই।