East Bengal: যুবভারতীতে আজ ইস্টবেঙ্গল-ওডিশা এফসি, এ বারও কি গোলের বন্যা?
ISL 2022-23: সমর্থকদের প্রসঙ্গে স্টিফেনের জবাব, 'নিজের স্ত্রী-কে যেমন এক বছর পরেই পাল্টে ফেলা যায় না, তেমনই সমর্থকরাও ক্লাব বদলে ফেলে না। আমাদের সমর্থকরাও আমাদের পাশেই থেকেছে।'
কলকাতা : ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL 2022-23) আজ ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) বনাম ওডিশা এফসি। এই দু-দলের ম্যাচ এলেই মনে পড়ে অতীতের দুটি ম্যাচের কথা। অতীত হলেও খুব বেশি দিনের কথা নয়। দুটি ম্যাচেই গোলের বন্যা। ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩০ নভেম্বর। দুই ম্যাচে গোল হয়েছিল যথাক্রমে ১১ এবং ১০টি। এ বারও কি তাই হবে? সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে বেশ কিছুটা এগিয়ে ওডিশা এফসি (Odisha FC)। গত পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি জয়। পয়েন্ট তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছে তারা। অন্য দিকে আধ ডজন ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জিতেছে মাত্র দুটি। মজার বিষয়, দুটি জয়ই এসেছে অ্যাওয়ে ম্যাচে। আজ ঘরের মাঠেও তিন পয়েন্টের লক্ষ্যেই নামছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচ প্রিভিউ Tv9Bangla-য়।
ফুটবলে এখন আলোচনায় শুধুই কাতার বিশ্বকাপ। তবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে আগে এই ম্যাচ। ঘরের মাঠে ম্যাচ। লাল-হলুদ জার্সির সমর্থনে গ্যালারিতে প্রচুর ভিড় হবে এমনটাই প্রত্যাশা করা যায়। তার আরও একটা কারণ গত ম্যাচের পারফরম্যান্স। এর আগে ঘরের মাঠে ডার্বি এবং চেন্নায়িনের কাছে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু গত ম্যাচে বেঙ্গালুরুর ডেরায় ইস্টবেঙ্গলের অনবদ্য জয় এবং তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়া সমর্থকদের আরও তাতিয়ে দিয়েছে। ওডিশার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যাই হোক, বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে আসা ইস্টবেঙ্গল অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ ভাগ যেমন গত ম্যাচে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছে, তেমনই রক্ষণও।
ওডিশার বিরুদ্ধে পরিসংখ্যান অবশ্য সুখকর নয় ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলে চার বারের সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গল জিতেছে মাত্র এক বার। গত ম্যাচ থেকে কোন ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন, এ প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হল গোল না খেয়ে জেতা। আমরা গত ম্যাচে ৯০ মিনিট ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছি, যেটা আমাদের দরকার ছিল। ক্লিন শিট তার ওপর বোনাস।’ বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে প্রচুর ইস্টবেঙ্গল সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। ঘরের মাঠে সংখ্যাটা কয়েকগুন বাড়বে, আশাবাদী স্টিফেন। সমর্থকদের প্রসঙ্গে স্টিফেনের জবাব, ‘ওদের সমর্থন আমাদের সবসময় দরকার। ওরাই আমাদের কথা ভাবে, আমাদের দেখে। আর বাংলার বাইরেও প্রচুর বাঙালি রয়েছে, যারা আমাদের সমর্থক। ওদের জন্যই আমরা ফুটবল খেলি। প্রতি ম্যাচেই ওদের জয়ের আনন্দ দিতে চাই। আমাদেরও ওদের পাশে থাকা উচিত। নিজের স্ত্রী-কে যেমন এক বছর পরেই পাল্টে ফেলা যায় না, তেমনই সমর্থকেরাও ক্লাব বদলে ফেলে না। আমাদের সমর্থকেরাও আমাদের পাশেই থেকেছে।’
শুক্রবার যুবভারতীতে দুই দলের লড়াই যেমন দেখা যাবে, তেমনই মাঠের মধ্যে আর একটা ছোট লড়াইও দেখা যেতে পারে। ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডের দ্বৈরথ। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ বিভাগে রয়েছেন সেরা অস্ত্র ক্লেটন সিলভা। ওডিশা এফসিতে রয়েছেন দিয়েগো মরিসিও। দু-জনের মধ্যে কে বেশি ধারালো হয়ে উঠতে পারেন, সেই লড়াইও আকর্ষণ বাড়াবে ম্যাচের।