Neymer’s Injury: গোড়ালি মচকে গিয়েছে! নেইমারকে নিয়ে কতটা আশঙ্কায় ব্রাজিল শিবির?
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাজিলের অনবদ্য জয়ের দিনও কোচ তিতের কপালে চওড়া ভাঁজ। দলের জয়কে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে নেইমার জুনিয়রের চোট আশঙ্কা।
দোহা: রিচার্লিসনের জোড়া গোলে মরুর বুকে ফুল ফুটিয়েছে ব্রাজিল (Brazil)। বৃহস্পতিবার রাতে হলুদ ঢেউ আর সাম্বার ছন্দে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ব্রাজিল সমর্থকদের মুখে হাসি ছড়িয়েছে সেলেকাওরা (Qatar World Cup 2022)। যে মঞ্চটা হওয়ার কথা ছিল নেইমারের, সেখানে ভাগ বসালেন রিচার্লিসন। তাঁর বাইসাইকেল কিকের গোলটি এখন ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। তবে এত হইচইয়ের মধ্যেও সতীর্থ নেইমারকে (Neymer) নিয়ে চিন্তিত রিচার্লিসন। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাজিলের অনবদ্য জয়ের দিনও কোচ তিতের কপালে চওড়া ভাঁজ। দলের জয়কে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে নেইমার জুনিয়রের চোট আশঙ্কা। দলের সেরা ফুটবলার ম্যাচে ৮০ মিনিটে বাঁ পায়ের গোড়ালিতে মারাত্মক চোট পান। মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসার সময় দেখা যায় গোড়ালির জায়গাটা ফুলে রয়েছে। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে আশঙ্কার মেঘ। কতটা গুরুতর নেইমারের চোট? চিকিৎসকদের বক্তব্য তুলে ধরল TV9 Bangla।
গোটা ম্যাচেই বিপক্ষের টার্গেট ছিলেন নেইমার। ৮০ মিনিটে সার্বিয়ার নিকোলা মিলেনকোভিচের ট্যাকেলে পায়ে চোট পান। পিএসজি ফরোয়ার্ড এর আগেও ওই পায়ে চোট পেয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম দামি ফুটবলারকে দীর্ঘক্ষণ বেঞ্চে মুখ ঢেকে বসে থাকতে হয়। ম্যাচের নায়ক রিচার্লিসন সতীর্থর চোট নিয়ে বলেন, “বোঝার চেষ্টা করছিলাম ওর চোট কতটা গুরুতর। ওকে বলেছিলাম গোড়ালিতে প্রচুর বরফ দিয়ে রাখতে। এতে দ্রুত ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে জরুরি ছিল। হোটেলে ফেরার পর দেখব ও কেমন রয়েছে।”
ব্রাজিল টিমের চিকিৎসরকদের তরফে খবর, নেইমারের গোড়ালি মচকে গিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে ঠিকই তবে চোটের গভীরতা বোঝার জন্য ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকা প্রয়োজন। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। চিকিৎসকরা ইতস্তত করলেও দলের সেরা ফুটবলারের চোট নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না কোচ তিতে। আপামর ব্রাজিল অনুরাগীদের উদ্দেশে বলে গেলেন, “পরের ম্যাচ থেকে খেলবেন নেইমার। নেইমার বিশ্বকাপে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। এই বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার সামর্থ্য ওর মধ্যে রয়েছে। ম্যাচের পর ও সুস্থ বোধ করছে। হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়।”