Neymar: মেসিকে শিখিয়েছেন টাইব্রেকার, গভীর রাতে নেইমারের বাড়িতে কেন গুয়ার্দিওলা?
সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে ব্রাজিলিয়ান তারকা ফাঁস করেছেন এক অজানা গল্প। শুধু তাই নয়, বার্সেলোনার বদলে বায়ার্ন মিউনিখে প্রায় যোগ দিয়ে ফেলেছিলেন নেইমার। সেই ঘটনাই বা কেমন ছিল, তাও তুলে ধরেছেন।

কলকাতা: একটা সময় পেনাল্টি কিকের ক্ষেত্রে তেমন ধারালো ছিলেন না সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। তাঁকে ট্রেনিং দিয়েছিলেন আর এক তারকা। না হলে টাইব্রেকারে ফুল ফোটাতে পারতেন না। যাঁকে নিয়ে এত কথা, তিনি লিওনেল মেসি। যিনি কোচের ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি কে? তাঁর এক সময়ের সতীর্থ, বন্ধু, টিমমেট নেইমার জুনিয়র। সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে ব্রাজিলিয়ান তারকা ফাঁস করেছেন সেই অজানা গল্প। শুধু তাই নয়, বার্সেলোনার বদলে বায়ার্ন মিউনিখে প্রায় যোগ দিয়ে ফেলেছিলেন নেইমার। সেই ঘটনাই বা কেমন ছিল, তাও তুলে ধরেছেন।
প্যারিস সাঁজা থেকে আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু বরাবরের চোটপ্রবণ ব্রাজিলিয়ানের সৌদি লিগ পর্ব ভালো যায়নি। যে ক্লাব থেকে শুরু করেছিলেন জীবন, সেই স্যান্টোসেই আবার ফিরেছেন নেইমার। লিগের ম্যাচে গোলও করছেন। নেইমারের লক্ষ্য, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ খেলা। তার আগে এক ইন্টারভিউতে মেসিকে নিয়ে অজানা গল্প তুলে ধরেছেন নেইমার। বার্সার ট্রেনিংয়ে নেইমারকে দেখে কী বলেছিলেন মেসি? নেইমারের কথায়, ‘ট্রেনিংয়ে একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, তুমি এমন দুরন্ত পেনাল্টি নাও কী করে? আমি অবাক। কিন্তু মেসি আরও অবাক করে বলে, আমাকে পেনাল্টি নেওয়া শেখাবে। আমি তো চমকে গিয়েছি। আমি বলেছিলাম, তুমি কি পাগল? তুমি লিওনেল মেসি! আমি যদি পারি, তুমিও পারবে। ও তাও অনুরোধ করে পেনাল্টি শেখানোর জন্য। আমি তখন ট্রেনিংয়ে ও যাতে আরও ভালো পেনাল্টি মারতে পারে, তার জন্য সাহায্য করি।’
বার্সার বদলে বায়ার্নে যোগ দেওয়ার গল্প আরও চমৎকার। নেইমার বলেছেন, ‘পুসকাস পুরস্কার নিতে গিয়েছি, এই গল্পটা তখনকার। মনে আছে, রাত প্রায় দুটো বাজছিল। বাবা আমাকে হঠাৎ ফোন করল। বলল, আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। হাফপ্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরে দরজা খুলে দেখি, বাবার সঙ্গে পেপ গুয়ার্দিওলা। গুয়ার্দিওলা ঘরে ঢুকেই আমার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। বলেন, যে টিমে আমি যাচ্ছি, সেখানে তোমাকেও নিয়ে যেতে চাই। চলো আমার কোচিংয়ে খেলবে। তোমাকে সেরা বানাব।’
সেই রাতের গল্প আজও ভোলেননি নেইমার। বলেছেন, ‘গুয়ার্দিওলা একটা কাগজের টুকরো আর ল্যাপটপ খুলে আমার সামনে বসে পড়েন। আমি মাঠে কী করি, কী করি না, সব দেখাতে থাকেন। বলেন, আমাকে বায়ার্ন মিউনিখের জন্য কী কী করতে হবে। উনি বলেন, যেগুলো তোমাকে করতে বলছি, সেগুলো করলে তুমি মরসুমে ৬০টা গোল করবেই। যদি না করো, আমার নাম বদলে দিও। আমি তখন চমৎকৃত। উনি বলেন, আমি কোচ হিসেবে বায়ার্নে যোগ দিচ্ছি। জানি মিউনিখে খুব ঠান্ডা। কিন্তু তোমার খেয়াল রাখব।’
২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখে কোচিং করান পেপ গুয়ার্দিওলা। সেখান থেকে চলে যান ম্য়াঞ্চেস্টার সিটিতে। রাতে বাড়িতে হানা দিলেও নেইমার শেষ পর্যন্ত স্যান্টোস থেকে বায়ার্নে পা দেননি। তিনি খেলেছিলেন বার্সেলোনাতেই।





