Bengal Football: ক্রীড়ামন্ত্রীর বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা পরই চিঠি রাজ্য ফুটবল সংস্থার
IFA: ক্রীড়ামন্ত্রীর বিস্ফোরণের পর আইএফএ সাফাই গাইল ঠিকই। কিন্তু সন্তোষে দলের চরম ব্যর্থতার পর বাংলার ফুটবলে উন্নতি আনতে কতটা উদ্যোগী হতে পারবে রাজ্যের ফুটবল সংস্থা? সেটা সময়ই বলবে...

কলকাতা: মঙ্গলবারই মোহনবাগানের লাইব্রেরি উদ্বোধনে গিয়ে বাংলার ক্রীড়া প্রশাসকদের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিএবি আর আইএফএ কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অরূপ বিশ্বাস। সন্তোষ ট্রফির ইতিহাসে লজ্জাজনক পারফরমেন্স বাংলার। মূলপর্বে একটি ম্যাচে পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটেতেই হেরেছেন নরহরি শ্রেষ্ঠারা। দিল্লির বিরুদ্ধে ড্র করে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শেষে থেকেছে বাংলা। একরাশ হতাশা নিয়ে ভুবনেশ্বর থেকে ফিরেছে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দল। বাংলার ক্রিকেট আর ফুটবল দলে কোটাতন্ত্রের অভিযোগের কথা ক্রীড়ামন্ত্রীর কানে পৌঁছিয়েছে। সে কথা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাফ জানান অরূপ বিশ্বাস। বাংলা দলের ব্যর্থতা নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করেন ক্রীড়া প্রশাসকদের। ক্রীড়া বাজেটে রাজ্য সরকার অধিক মাত্রা অর্থ ঢেলেও কেন এই ব্যর্থতা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অরূপ বিশ্বাস।
ক্রীড়ামন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্যে সরগরম হয়ে ওঠে ময়দান। আইএফএ ও সিএবির বিরুদ্ধে মন্ত্রীর ক্ষোভ অনেক বিষয়কেই সামনে এনে দেয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরই ক্রীড়ামন্ত্রীকে চিঠি আইএফএর। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দলের পারফরমেন্স এবং কোচ নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের কথা উল্লেখ করে ক্রীড়ামন্ত্রীকে চিঠি রাজ্য ফুটবল সংস্থার।
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে চিঠিতে জানান, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দ্বারা আপনার মন্তব্য শুনেছি। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার খারাপ পারফরমেন্সের জন্য কোচ ও ফুটবলার নিয়োগে কোটাতন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন আপনি। সন্তোষ ট্রফিতে কোচ নিয়োগে আইএফএ কর্তাদের কোনও ভূমিকা নেই। রাজ্য ফুটবল সংস্থার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সন্তোষ ট্রফিতে কোচ নিয়োগের জন্য প্রাক্তন ফুটবলারদের একটি কোচেস কমিটি রয়েছে। যে কমিটিতে আছেন- তপনজ্যোতি মিত্র, অলোক মুখোপাধ্যায়, অমিত ভদ্র, কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার, জামশেদ নাসিরি, অশোক চন্দ ও অরুণ ঘোষ। ন্যাশনাল গেমসে কোচের জন্য সেই কমিটি প্রথমে রঞ্জন ভট্টাচার্যকে (গতবারের সন্তোষ ট্রফিতে রানার্স) প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এএফসি এ লাইসেন্স কোর্সের জন্য ব্যস্ত থাকায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় রঞ্জন। এরপরই বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে কোচ করে কোচেস কমিটি। জাতীয় গেমসে তার কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা। সেটাকে প্রাধান্য দিয়েই সন্তোষ ট্রফিতে তাকে কোচ হিসেবে বহাল রাখে কোচেস কমিটি।’
ফুটবলার নিয়োগ সম্পর্কে আইএফএ জানায়, ‘ফুটবলার বাছাইয়ের সম্পূর্ণ বিষয়টি কোচের দায়িত্বে। সন্তোষ ট্রফির দলের জন্য প্রত্যেক ক্লাবকেই ট্রায়ালে ফুটবলার পাঠানোর জন্য আমরা চিঠি দিই। সেই ট্রায়াল থেকেই ফুটবলার বাছাই করে কোচ। কল্যাণীতে আমরা আবাশিক শিবিরও করি। ফুটবলার বাছাই এবং ফুটবল দলের টেকনিক্যাল বিষয়ের সঙ্গে আইএফএ কর্তারা জড়িয়ে নেই। আপনার কাছে তাই পুরো বিষয়টা দৃষ্টিগোচর করলাম।’
ক্রীড়ামন্ত্রীর বিস্ফোরণের পর আইএফএ সাফাই গাইল ঠিকই। কিন্তু সন্তোষে দলের চরম ব্যর্থতার পর বাংলার ফুটবলে উন্নতি আনতে কতটা উদ্যোগী হতে পারবে রাজ্যের ফুটবল সংস্থা? সেটা সময়ই বলবে…





