AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mohun Bagan Champion: সুপার চ্যাম্পিয়ন! আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্য জয় মোহনবাগানের

Mohun Bagan VS Bengaluru FC Final Report: শুধু তাই নয়, টানা দু-বার লিগ শিল্ড জয়ের নজিরও গড়েছে মোহনবাগান। গত মরসুমেও সুযোগ এসেছিল লিগ শিল্ডের সঙ্গে নকআউট ট্রফি জেতার। যদিও ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসির কাছে হার। এ বার বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন।

Mohun Bagan Champion: সুপার চ্যাম্পিয়ন! আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্য জয় মোহনবাগানের
Image Credit: PTI/X
| Updated on: Apr 12, 2025 | 10:26 PM
Share

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় দল। একই মরসুমে লিগ শিল্ড এবং আইএসএল নকআউট ট্রফি জিতল মোহনবাগান। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও জয়। আইএসএলে দ্বি-মুকুট। লিগ শিল্ড আগেই জিতেছিল মোহনবাগান। শুধু তাই নয়, টানা দু-বার লিগ শিল্ড জয়ের নজিরও গড়েছে মোহনবাগান। গত মরসুমেও সুযোগ এসেছিল লিগ শিল্ডের সঙ্গে নকআউট ট্রফি জেতার। যদিও ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসির কাছে হার। এ বার বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন।

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে স্বপ্নের রাত। সবুজ মেরুন রোশনাই। মুগ্ধকর গ্য়ালারি। তেমনই মাঠের খেলাতেও। মরসুমের শুরুতে কিছুটা অস্বস্তি ছিল। নানা চড়াই উতরাই। অ্যাক্সেলেটরে পা রাখতে পিছু হটেনি মোহনবাগান। পরপর ভালো ফল। আইএসএল লিগ শিল্ড জিতে সমর্থকদের একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। তখন শুধুই অপেক্ষা আর তিনটে ম্যাচ জিতে নকআউট ট্রফিতেও হাত রাখা। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হার। একটা ধাক্কা লাগলেও ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি মোহনবাগান। ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দাপুটে জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

ফাইনাল। এই শব্দটাতেই বাড়তি চাপ থাকে। মোহনবাগানেও কি ছিল? হতে পারে। তার উপর প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসির মতো শক্ত গাঁট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অ্যালবার্তো রডরিগজের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। কিন্তু ওই যে, ঘরের মাঠ, গ্যালারি ভর্তি সমর্থন। তাঁদের সমর্থন ব্যর্থ হতে দেওয়া যায় না। ফুটবলাররা আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন। মোহনবাগানের ঝাঁঝালো আক্রমণে ভুল করতে বাধ্য হয় বেঙ্গালুরু এফসি। তাতেই হ্যান্ডবল ও পেনাল্টি। স্পট কিক থেকে মোহনবাগানের হয়ে সমতা ফেরান জেসন কামিন্স।

গ্যালারির গর্জন বাড়ে। সঙ্গে প্রত্যাশাও। সবুজ মেরুন আবির, মোহনবাগান পতাকা, উত্তরীয় সব তৈরি। এ মরসুমে ঘরের মাঠে অপরাজিত ছিল মোহনবাগান। সেই পরিসংখ্যানও সবুজ মেরুন সমর্থকদের কাছে শক্তি। নির্ধারিত সময় অবধি স্কোরলাইনে বদল না হলেও অস্বস্তি বাড়েনি। তখনও এক্সট্রা টাইম, টাইব্রেকারের বিকল্প ছিল। জেমি ম্যাকলারেন অবশ্য অপেক্ষা করাননি। গ্রেগ স্টুয়ার্টের মাপা পাসে গোল জেমির। সবুজ মেরুন আবিরে সেলিব্রেশন তখন শুধুই অপেক্ষা। বেঙ্গালুরু এফসি যেন হাল ছেড়ে দিয়েছিল। মোহনবাগানের আক্রমণের যা বহর, জয়ের ব্যবধান বাড়তে পারত। শেষ অবধি ২-১ ব্যবধানে জয় এবং দ্বি-মুকুট।