Mohun Bagan: মোহনবাগানে ইলেকশন না সিলেকশন? ময়দানে জোর জল্পনা
Mohun Bagan Club-Election: নির্বাচনে দেবাশিস দত্তর প্রতিদ্বন্দ্বী টুটু বসুর বড় ছেলে সৃঞ্জয় বসু (টুম্পাই)। সূত্রের খবর, রবিবারের ঘটনা ভালোভাবে মেনে নেননি টুটু বসু। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তাই নির্বাচনী প্রচারে নিজেকে কাজে লাগাতে চান একদা বাগানের কল্পতরু।

মোহনবাগানে এখন নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমে পড়েছে বাগানের শাসক আর বিরোধী দুই শিবিরই। চলছে ঘর ভাঙার পালা। এসবের মাঝেই রবিবার মোহনবাগানের এক অনুষ্ঠানে গা ঘেষাঘেষি করে বসে থাকতে দেখা যায় মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত আর মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের অন্যতম কর্তা সৌমিক বসুকে। এই সৌমিক বসু (টুবলাই) আবার সম্পর্কে টুটু বসুর ছোট ছেলে। নির্বাচনে দেবাশিস দত্তর প্রতিদ্বন্দ্বী টুটু বসুর বড় ছেলে সৃঞ্জয় বসু (টুম্পাই)। সূত্রের খবর, রবিবারের ঘটনা ভালোভাবে মেনে নেননি টুটু বসু। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তাই নির্বাচনী প্রচারে নিজেকে কাজে লাগাতে চান একদা বাগানের কল্পতরু।
এমন সময় যে ময়দানে নানা জল্পনাও ছড়িয়ে পড়বেন, সেটাই স্বাভাবিক। যতক্ষণ না ‘ফাইনাল’ কিছু হচ্ছে, জল্পনা বাড়বেই। যেমন আপাতত প্রশ্ন, মোহনবাগানে ইলেকশন না সিলেকশন? তা নাকি অনেকটা নির্ভর করছে নবান্নের চাওয়া পাওয়ার দিকে। নবান্ন চাইলে সিলেকশন, না হলে ইলেকশন! এমনটাই মনে করছেন বাগানের পোড় খাওয়া কর্তা এবং সমর্থকরা। দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে আমন্ত্রিত মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। আবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীঘা গিয়েছেন সৃঞ্জয় বসুও। সেখানে থাকবেন মোহনবাগানের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ। বলা হচ্ছে, এই নির্বাচনের হাওয়ায় মাস্টারস্ট্রোক যিনি দিয়েছেন। ময়দানে এসব মিলিয়ে দুইয়ে-দুইয়ে চার করার হিসেব মেলানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ৩০ তারিখ দীঘাতে দেবাশিস দত্ত আর টুম্পাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকতে পারেন কুণাল ঘোষও। ওই আলোচনায় মোহনবাগানের নির্বাচনের রূপরেখাও তৈরি হতে পারে। সূত্রের খবর, ক্যামাক স্ট্রিট আর চাইছে না এই নির্বাচনে ঢুকতে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ দেবাশিস দত্ত তাই আসন্ন নির্বাচনে জমি আঁকড়ে ধরতে প্রচারকে হাতিয়ার করেছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ সৃঞ্জয় বসুও ভীষণভাবে চাইছেন বাগানের হটসিটে ফিরতে।
ইতিমধ্যেই একাধিক সদস্য সৃঞ্জয়ের সমর্থনে ‘তোমাকে চাই’ প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। মোহনবাগানের ম্যাচেও এমন নানা চিত্র দেখা গিয়েছে গ্যালারিতে। ইদানীং বেশ কিছু জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে টুম্পাইকে। প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলতে পারে ৩০ তারিখের আলোচনায়। নির্বাচন ছাড়াই যদি সবটার সুরাহা হয়! এমন জল্পনা তাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বাগানে ইলেকশন না সিলেকশন তার সমাধান হতে পারে দীঘার সৈকতেই?