Mohun Bagan-East Bengal: যুবভারতীর সামনে রণক্ষেত্র, টেনে হিঁচড়ে প্রতিবাদীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ; মহিলাদের উপরও লাঠিচার্জ
RG Kar case: ফুটবলপ্রেমীদের পুলিশের পক্ষ থেকে ভিআইপি গেটের ২০০ মিটার দূরে সরে গিয়ে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছিল। তাঁরা সেটাই মেনে ভিআইপি গেট থেকে দূরে সরে যান। কিন্তু তারপরও ফুটবলপ্রেমীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
কলকাতা: যুবভারতীর বাইরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকরা জমায়েত করেছেন সল্টলেক স্টেডিয়ামের সামনে। যুবভারতী সংলগ্ন এলাকায় রবিবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা অবধি ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। ময়দানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ও মোহনবাগান (Mohun Bagan) আজ মিলেমিশে গিয়েছে। আজ ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান নয়, যুবভারতীতে দুই প্রতিপক্ষর সমর্থকা একজোট হয়েছেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। ফুটবলপ্রেমীদের পুলিশের পক্ষ থেকে ভিআইপি গেটের ২০০ মিটার দূরে সরে গিয়ে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছিল। তাঁরা সেটাই মেনে ভিআইপি গেট থেকে দূরে সরে যান। কিন্তু তারপরও ফুটবলপ্রেমীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
প্রত্যাশা ছিলই যে রণক্ষেত্র হতে চলেছে যুবভারতীর সামনে। হলও সেটাই। পুলিশ প্রতিবাদী ফুটবল সমর্থদের থামানোর জন্য লাঠিচার্জ শুরু করেন। ফুটবল সমর্থকদের বিক্ষোভে স্তব্ধ যুবভারতী সংলগ্ন এলাকা। রবি-বিকেলে ইএমবাইপাস স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু তা আর হল কই! প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে সেখানে। কিন্তু একে একে একাধিক ফুটবলপ্রেমীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। বাদ যাননি মহিলা সমর্থকরাও। তাঁদের উপরও লাঠিচার্জ করা হয়।
পুলিশ রীতিমতো তিন প্রধানের সমর্থকদের তাড়া করেন। মাঝে ছত্রভঙ্গ হয় ঠিকই। কিন্তু ফুটবল প্রেমীদের প্রতিবাদ থামেনি। ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান AIFF প্রেসিডেন্ট কল্যান চৌবে। তিনি বলেন, ‘যাদের আটক করা হয়েছিল, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফুটবল সমর্থকদের জয়।’