POR vs URU Match Report: দ্বিতীয়ার্ধে ব্রুনোর জোড়া গোল, নকআউটে পর্তুগাল
FIFA World Cup Match Report, PORTUGAL vs URUGUAY : ম্যাচের ৫৪ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্ডেজের ভাসানো বল, গোলের সামনে লাফিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গোলও হয়। প্রাথমিকভাবে গোলটি রোনাল্ডোর নামেই দেওয়া হয়।
লুসেইল : বার বার হতাশা প্রকাশ করে ফেলছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এমনটাই স্বাভাবিক। ভালো কিছু মুভ তৈরি হলেও গোলের কাছ অবধি পৌঁছতে পারছিলেন তাঁরা। একই অবস্থা উরুগুয়েরও। দানিলো পেরেরার চোটের কারণে এই ম্যাচের প্রথম একাদশে পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় পর্তুগাল। খেলানো হয় পেপেকে। তবে উরুগুয়ের প্রথম একাদশে লুইস সুয়ারেজ না থাকে অনেককেই অবাক করেছিল। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বকাপে এর আগের ৮ ম্যাচের মধ্যে সাত ম্যাচেই ক্লিনশিট রেখেছে উরুগুয়ে। ফলে প্রথমার্ধে সেই লক্ষ্যই ছিল উরুগুয়ের। লক্ষ্যে সফলও তারা। গোলে একটিও শট নিতে পারেনি পর্তুগাল। এ বারের বিশ্বকাপে এমনটা বেশ কিছু ম্যাচেই দেখা গিয়েছে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য, দ্বিতীয়ার্ধে অনবদ্য কিছু গোল এবং জয়। পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ে ম্যাচের বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
পর্তুগাল ২ (ব্রুনো ফার্নান্ডেজ ৫৪’, ৯০+৩)
উরুগুয়ে ০
দানিলো পেরেরার চোটের জন্য যেমন প্রথম ডিফেন্সে পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিলেন পর্তুগাল কোচ, ম্যাচেও দ্রুতই পরিবর্তন করতে হল। ৪২ মিনিটে চোটে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার নুনো মেন্ডেজ। পরিবর্তে নামানো হয় রাফায়েল গায়েরোকে। বিরতিতে আর কোনও পরিবর্তন করেনি দু-দলই। তবে ফউলের পর ফাউল। রেফারিকে বারবার কার্ড বের করতে হল। এ বারের বিশ্বকাপের ধারা বজায় থাকল এই ম্যাচেও। দ্বিতীয়ার্ধেই এল গোল। তবে সেই গোল নিয়ে কিছু ধোঁয়াশাও তৈরি হয়েছিল। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্ডেজের ভাসানো বল, গোলের সামনে লাফিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গোলও হয়। প্রাথমিকভাবে গোলটি রোনাল্ডোর নামেই দেওয়া হয়। বারবার স্লো মোশনে দেখে সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয় ব্রুনোর ভাসানো বল সরাসরি জালে জড়িয়েছে।
The goal has officially been ruled as scored by Bruno Fernandes #POR #URU https://t.co/3NN2pbupe0
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup) November 28, 2022
নিশ্চিত না হওয়া সত্ত্বেও রোনাল্ডো কেন সেলিব্রেশন করলেন এই নিয়েও শুরু হয় আলোচনা, সমালোচনা। ফিফাও টুইট করেছিল রোনাল্ডোর গোল বলেই। পরে তারাও সেই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ভাবে ব্রুনোর গোলের বিষয়টি লেখেন। তবে যাই হোক, ম্যাচে হ্যাটট্রিক হতে পারতো ব্রুনোর। দ্বিতীয়ার্ধের অ্যাডেড টাইমে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। গোল করতে ভুল করেননি ব্রুনো। উরুগুয়ে সমর্থকরা অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গ্যালারি থেকে অশ্লীল ইঙ্গিত করা হয় রেফারির দিকে। এর পরও দুটি গোলের সুযোগ এসেছিল ব্রুনোর সামনে। প্রথমটি অনবদ্য সেভ উরুগুয়ে গোলরক্ষকের। দ্বিতীয় শটটি পোস্টে লাগে। না হলে ২-০’র বেশি ব্য়বধানেই জিততে পারত পর্তুগাল, ব্রুনোরও হ্যাটট্রিক হত। তবে পর্তুগালের নকআউট নিশ্চিত হওয়া বাকি কিছু নিয়ে চিন্তিত নন তাঁরা।
ম্যাচে অবশ্য দৃষ্টি ফেরালো আর একটি ঘটনাও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। যাঁর টি-শার্টের সামনে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেণকে নিয়ে বার্তা, পিছন দিকে ইরান এবং হাতে রেনবো ফ্ল্যাগ। বিতর্ক নাকি সাহস? যে যাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করবেন। তবে এত নিরাপত্তা ভেদ করে মাঠে ঢুকে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছেন সেই ব্যক্তি।